স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৭ এপ্রিল : কমিউনিস্টের ধারণা যত বেশি নির্বাচনে মানুষকে ব্যস্ত রাখা যায় তত জনগণের জন্য কাজ করতে হবে না। কারণ কমিউনিস্টদের কাজ করার মানসিকতাই নেই। উন্নয়ন ও কমিউনিস্টদের মধ্যে ফারাক যেমন উত্তর এবং দক্ষিণ দিকের মতো। এবং অপর বিরোধীদল কংগ্রেস কখনো দেশের একটি পরিবার ছাড়া আর কোন কিছুই ভাবেনি। এর জন্যই কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস এক দেশ এক ভোটের বিরোধিতা করে। সোমবার অল ত্রিপুরা আশা ফেসিলিটেটরস ও আশা কর্মী এসোসিয়েশন এবং অল ত্রিপুরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক দেশ এক ভোট এক দিবসীয় কনভেনশনে বক্তব্য রেখে একথা বলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এদিনের অনুষ্ঠানে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব আরো বলেন, দেশে জরুরী অবস্থা জারি করার পেছনে মূলত প্রধান কারণ থাকে যখন অন্য কোন দেশের সাথে যুদ্ধ শুরু হয়, কিংবা বড়সড়ো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্যের অভাব সৃষ্টি হয়। অথচ দেখা গেছে ১৯৭৫ থেকে ৭৭ সালে দেশে যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।
পরে দেশবাসী বুঝতে পেরেছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস বিরোধী মানুষদের জেলে ঢুকিয়ে দিয়ে নিজের ছেলে এবং পরিবারকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বহু মানুষকে জেলের ঢুকাতে তৎকালীন সময়ে পৃথকভাবে বিশেষ জেল নির্মাণ করেছিলেন। যাতে মানুষ দুই থেকে আড়াই বছর এই জেলে থাকতে হয়। এ ধরনের পরিবার দেশে এক নির্বাচন চায় না। তারা জানে এক নির্বাচন হলে সময় বাঁচবে এবং সরকারকে জনগণের জন্য বেশি কাজ করতে হবে। সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একসাথেই হতো। তখন কংগ্রেসের সরকার ছিল দেশে। কারণ তাহলে একদিকে যেমন সময় বাঁচে অপরদিকে দেশের আয় হয় এবং জনগণের জন্য কাজ করার সময় পাওয়া যায়। অথচ সেই ইতিহাস ভুলে আজ এক দেশ এক ভোটের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। সাংসদ রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ত্রিপুরায় পাঁচটি নির্বাচন পৃথকভাবে হয়।
যদি এই নির্বাচন গুলি একসাথে হয় তাহলে সরকার আরো বেশি কাজ করার জন্য সময় পাবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার পলিটব্যুরোর সর্বভারতীয় নেতার নাম ঘোষণা হয়েছে। বিপ্লব কুমার দেব বলেন যাকে সর্বভারতীয় দলীয় নেতা বানানো হয়েছে তাকে কতজন চেনে সেটা জানেন না তিনি। মোবাইলে দেখতে হবে সেই নেতা কে। এমনটাই দাবি করলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। এদিনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা বিপ্লব কর সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের হাতে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা দাবি সনদ তুলে দেন।
