স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩০ মার্চ : ১০ টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, ফেডারেশন সমূহ ও বিভিন্ন সংগঠনের আহ্বানে ২০ মে দেশব্যাপী সাধারন ধর্মঘটের সমর্থনে রবিবার অনুষ্ঠিত হয় রাজ ভিত্তিক কনভেনশন। আগরতলা টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয় এই কনভেনশন। কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ-র রাজ্য সভাপতি মানিক দে, সাধারন সম্পাদক শঙ্কর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্যরা। কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিআইটিইউ-র রাজ্য সাধারন সম্পাদক শঙ্কর প্রসাদ দত্ত বলেন সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে বলা হয় সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা হচ্ছে। রাষ্ট্র বিরোধী কথা বলা হচ্ছে। কোথাও বলা হয় হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ১৭ টি দাবির ভিত্তিতে ১০ টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, ফেডারেশন সমূহ ও বিভিন্ন সংগঠন ২০ মে দেশ ব্যাপী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ২০ মে দেশ ব্যাপী সাধারন ধর্মঘটকে সফল করার জন্য দেশ ব্যাপী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে সাবকা সাথ সবকা বিকাশ নয়, সাবকা সাথ সবকা সর্বনাশের দিকে নিয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতিবিদরা সার্ভে করে দেখতে পেয়েছেন, বর্তমানে দেশের শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ২০৩ টাকা থেকে ২৪২ টাকা পায়। এটা টাকা দিয়ে মোদি সরকারের সংসার এবং নির্মলা সীতারামনের চলে কিনা সেটা জানা নেই, কিন্তু শ্রমিকদের সংসার এই টাকা দিয়ে চলে না। এর উপর প্রতিদিন কাজ নেই। এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শ্রমিকরা। অপর দিকে মহিলা শ্রমিকদের অবস্থা আরো বেশি করুন।
আরো বলেন, আরো দেখা যাচ্ছে দেশের ৭০ শতাংশ সম্পদ দেশের ৫% মানুষের হাতে চলে গেছে। এবং এই পাঁচ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সরকারের কৃপায় বড় ধনপতি হয়েছে। তিনি আর বলেন এ সরকারের কারণে দেশে গরিবত্ব বাড়ছে। দেশের ৮০-৯০ শতাংশ মানুষ গরিব। কারণ তাদের আয় উপার্জন প্রয়োজনের তুলনায় নেই। শ্রম কোড আইন পাস করে নিল দীর্ঘদিন ধরে তারা চাপে পড়ে পাস করতে পারছে না। চেষ্টা করছে আগামী মঙ্গলবার তারা এই শ্রম কোড কার্যকর করার। একতরফাভাবে আগামী এপ্রিল থেকে শ্রমিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এই শ্রম কোড কার্যকর করবে। যার ফলে শ্রমিকদের মালিকের ইচ্ছার উপর কাজ করতে হবে। এবং এই আইনের মাধ্যমে সংগঠন করার অধিকার, আন্দোলন করার অধিকার এবং প্রতিবাদ করার অধিকার বন্ধ হয়ে যাবে। এ সরকারের লক্ষ্য হলো এই আইন কার্যকর করে যাতে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। শ্রমিকরা যাতে নির্যাতন ও বঞ্চনা শিকার হয়ে কোন প্রতিবাদ করতে না পারে, এর জন্য এই চেষ্টা বলে জানান তিনি। সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, জনগণ ও শ্রমিকের ঐক্য ভাঙ্গার জন্য বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। আর এটাকে ভাঙতে পারে একমাত্র গণ আন্দোলন। তাই শ্রমিকদের গণআন্দোলনে অগ্রসর হতে আহ্বান জানান তিনি। এদিনের আয়োজিত কনভেনশনে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।