স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৫ মার্চ :শাসকদলের মন্ত্রী বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতারা গাল ভরা গল্প নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন রাজ্যে সুশাসন চলছে। আর এই সুশাসনের নমুনা হলো পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ। কারণ মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ রাজধানীর এডি নগর এলাকার বাসিন্দা কল্পনা দাসের শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে আনা হয়েছিল আইজিএম হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক কল্পনা দাসের পরিবারকে জানিয়ে দেন তাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয়নি তাই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে হবে।
যথারীতি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। অথচ পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছেছে বুধবার সকাল নয়টার সময়। যে মহিলা পুলিশ কর্মী হাসপাতালে এসেছেন তারা সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাতের বেলা কখন ফোন করা হয়েছিল পুলিশকে সেটা তাদের ধারণা নেই। সকালে ডিউটিতে এসে জানতে পেরেছেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারের বক্তব্য রাত বারোটা থেকে হাসপাতালে বারান্দায় মৃতদেহ নিয়ে বসে আছে। অথচ পুলিশ এসেছে সকাল নয়টা সময়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো রোগীর পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। হাসপাতালের প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে সুশাসন জামানায় রাতের বেলা পুলিশ কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘুমায় থানায়।
যার কারনে মাত্র ১ থেকে ২ মিনিটে রাস্তা অতিক্রম করে পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশকে আইজিএম হাসপাতালে পৌঁছাতে সময় লাগলো নয় থেকে দশ ঘন্টা। উল্লেখ্য, ময়না তদন্তের আগে পুলিশকে খবর দিতে হয়। পুলিশ আসলেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু দায়িত্ব কতটা এড়িয়ে চলেছে পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ সেটা প্রমাণ দিল এদিন। সঠিক সময়ে এসে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য যদি জিবি হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হতো তাহলে এই ধরনের অভিযোগ উঠতো পুলিশের বিরুদ্ধে।