স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ ডিসেম্বর : সুশাসন জামানায় আইন কানুন কোথায়? এক পাম্প অপারেটরে চাকরি কেড়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে রাষ্ট্রবাদী দলের দুই চুনপুটি নেতা। ঘটনা মেলাঘর তেলকাজলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ড এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুবিচার চাইলেন পাম্প অপারেটরের পরিবার। এলাকার বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ। জানা যায়, ২০২০ সালের এক নভেম্বর পাম্প অপারেটর কাজে যোগদান করেন শ্যামল দাস। গত কিছুদিন পূর্বে প্রবল বন্যায় তেল কাজলা এলাকার পাম্প অফিসটি গোমতীর জলে তলিয়ে যায়।
এলাকার একাধিক কৃষক পরিবার জলের দরুন কৃষিকাজে সর্বনাশ ঘটে। পাম্প অপারেটর শ্যামল দাস ব্লক সহ একাধিক অফিসে তা দ্রুত নতুন অফিস তৈরি করে দিতে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু এলাকার শাসক দলের নামধারী চুনোপুটি নেতা পিন্টু ঘোষ, তুফান সরকার পাম্প অপারেটরের চাকরি থেকে জোরপূর্বক শ্যামল দাসকে রিজাইন দিতে চাপ দেয়। বিনিময়ে অন্য একজনকে চাকরি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। এমনকি ৫০,০০০ টাকা পাম্প অপারেটরের কাছ থেকে দাবি করেন। এ নিয়ে তাকে জোরপূর্বক চাকরি থেকে রিজাইন করতে কাগজে স্বাক্ষর পর্যন্ত করিয়ে নেয় রাষ্ট্রবাদী দলের দুই নেতা। অসহায় পাম্প অপারেটর সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ প্রফেসর মানিক সাহাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন। এদিকে পাম্প অপারেটরের সহধর্মিনী জানান, তাদের উপর দুই রাষ্ট্রবাদী নেতার বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছে। তাদের বক্তব্য পাম্প অপারেটরের পরিবার সিপিআইএম দলের সমর্থক। তাই এই চাকরি করতে পারবেন না।
পাল্টা মহিলা জানিয়েছেন তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। যখন যে সরকার থাকে সে সরকারকে তারা সমর্থন করেন। কিন্তু এভাবে চাকুরি কেড়ে নেওয়া অত্যন্ত বেআইনি অপরাধ। রাষ্ট্রবাদী নেতার কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট তার সাথে জড়িত রয়েছে এলাকার মূল জনপ্রতিনিধি। তার আস্কারায় এ ধরনের কার্যকলাপ এলাকায় চলছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী। মোটা অংকের বিনিময়ে টিকিট পেয়ে প্রথমবারের মতো জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের কার্যকলাপে উঠে পড়ে লেগেছে এই নেতা বাবু। আর তার সৈন্য সামন্ত হল দুই চুনোপুটি নেতা। তাদের এই ধরনের কার্যকলাপে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। সুশাসনে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।