স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ নভেম্বর : ত্রিপুরার হর্টিকালচারের ভবিষ্যৎ রয়েছে। কেন্দ্র সরকারও মনে করে হর্টিকালচারে ত্রিপুরার বড় সুযোগ রয়েছে। তাই হার্টিকালচারে ত্রিপুরাকে স্বয়ম্ভর করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সোমবার নাগিছড়া উদ্যান ও বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করে পর্যালোচনা বৈঠকের পর এই কথা বললেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, রাজ্যে সবজি চাষের পাশাপাশি কাঁঠাল কমলা এবং আনারস সহ অন্যান্য ফলের চাষের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে এখন আনারস চাষের জন্য কোন মরশুমের প্রয়োজন হয় না। সারা বছর আনারস চাষ হয়। একই সাথে কমলা চাষ কিভাবে বাড়ানো যায় সেদিকে লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী দিন রাজ্যের কমলা মানুষের নজরে আনতে আগরতলা শহরের উপর একটি কমলা উৎসবের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে আলুর বিজের মাধ্যমে আলুর চাষ চলছে। ২০২৭ – ২৮ অর্থবছরে ত্রিপুরা আলু বীজে স্বয়ম্বর হয়ে যাবে। ফুল চাষে ত্রিপুরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। জারবেরা ও গোলাপ ফুল এখন ত্রিপুরায় চাষ হয়। আগামী দিনে চাষ আরো বাড়ানোর দিকে নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, বীরচন্দ্র মনুতে সবজির নার্সারি খোলা হয়েছে। লেম্বু ছাড়াতে ফুলের চাষের সিভি খোলার চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা সম্পর্কে বলেন, গত আগস্ট মাসের বন্যায় যাদের জমিতে বালি পড়েছে তাদের হেক্টর প্রতি আঠারো হাজার টাকা করে সহযোগিতা করা হবে। বিশেষ করে ২২০০ টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষকরা সহযোগিতা পাবে। এ সহযোগিতা আগামী ১৯ বা কুড়ি নভেম্বর থেকে চালু করার চেষ্টা চলছে। একই সাথে বিরোধীদের নিশানা করলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন বিরোধীরা শুধু সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে কথা বললে হবে না। বর্তমানে আধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে জমিতে চাষ হয়। যে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার হচ্ছে সেগুলি বিগত সরকারের সময় ছিল না বলে জানান মন্ত্রী। বর্তমানে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হলেও আরো কিভাবে কৃষকদের আয় বাড়ানো যায় সেদিকে গুরুত্ব দিতে চেষ্টা করছে সরকার। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।