Thursday, November 21, 2024
বাড়িরাজ্যইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত না হলে ইনভেস্টাররা রাজ্যে আসবে না, ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্ব দিতে আহ্বান...

ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত না হলে ইনভেস্টাররা রাজ্যে আসবে না, ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্ব দিতে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ সেপ্টেম্বর : ভারতের অন্যতম সেরা ইঞ্জিনিয়ার এম বিশ্বেশ্বরাইয়া-র স্মরণে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ পালন করা হয়। কারিগরি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অতুলনীয়। এম বিশ্বেশ্বরাইয়া-কে অন্যতম প্রধান নেশন বিল্ডার্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যাঁর হাত ধরে আধুনিক ভারত নির্মিত হয়েছিল। এম বিশ্বেশ্বরাইয়াকে স্মরণে রেখে রবিবার প্রজ্ঞা ভবনে পূর্ত দপ্তরের উদ্যোগে ৫৭ তম ইঞ্জিনিয়ার দিবস পালন করা হয়।

গাছে জল দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তারপর তিনি বক্তব্য রেখে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের উপর সরকারের ভরসা রয়েছে। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য তারা বড় ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাদের স্পর্শ ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এবং এই ইঞ্জিনিয়াররা শুধু ত্রিপুরার নাম উজ্জ্বল করছে না, দেশের বাইরে গিয়েও তারা ত্রিপুরার নাম উজ্জ্বল করছে। তাদের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আগে একটা সময় ছিল তারা ভাবতো সরকার তাদের সহযোগিতা করবে না। কিন্তু বর্তমান সরকার ইঞ্জিনিয়ারদের সেসব সমস্যা সমাধান করে চলেছে।

 কারণ এই সরকারের মধ্যে ইচ্ছে শক্তি রয়েছে। রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তারা যাতে এমন কাজ করে, তাদের কাজ দেখে ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি উৎসাহিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ত্রিপুরার বাইরে যেসব ছেলে মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছে তারা রাজ্যে ফিরে আসতে সরকার আহবান করছে। কারণ তারা রাজ্যে ফিরে এলে ত্রিপুরা মডেল স্টেট হিসেবে দ্রুত গড়ে উঠবে। শুধু উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নয়, গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে আর বলেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার কিভাবে আরো উন্নত করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত না হলে ইনভেস্টাররাও রাজ্যে আসবে না। সরকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত করতে বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ অনেক বেশি রেখেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এম বিশ্বেশ্বরাইয়া বিহারে গঙ্গা নদীর উপর মোকামা সেতু তিনি নির্মাণ করেছিলেন। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে তিনি সবচেয়ে বেশি জল সেঁচের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁর সময়ে ব্যাঙ্গালোরে প্রেস ক্লাব এবং ব্যাংক স্থাপন হয়েছিল। সব মিলিয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য সাফল্য সম্পর্কে সকলে জানে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে সহ অন্যান্য আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা। অপরদিকে ৫৭ তম ইঞ্জিনিয়ারস দিবস পালন করা হয় আগরতলার হেরিটেজ পার্ক সংলগ্ন পূর্ত দপ্তরের ওয়াটার রিসোর্স দপ্তরের অফিসে। এই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে সহ আরো অন্যান্যরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে পূর্ত দপ্তরের সচিব আজকের দিনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য