Sunday, October 6, 2024
বাড়িরাজ্যপাশের দাবিতে প্রথম সেমিস্টারে অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা বটতলা এলাকায় পথ অবরোধ করল

পাশের দাবিতে প্রথম সেমিস্টারে অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা বটতলা এলাকায় পথ অবরোধ করল

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ সেপ্টেম্বর : ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন মহাবিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারে অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা বটতলা এলাকায় পথ অবরোধ করেন। তাদের উত্তীর্ণ করে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই আন্দোলন সংগঠিত করে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকে। আন্দোলনকারী কলেজ পড়ুয়ারা এদিন শিক্ষা ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ রত কলেজ পড়ুয়াদের বক্তব্য প্রথম সেমিস্টারে ১৮ হাজারের ওপরে ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে।

পাস করেছে দুই হাজারের অধিক ছাত্রছাত্রী। বিশাল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হতে পারেনি দ্বিতীয় সেমিস্টারে। তাদের দাবি তাদেরকে দ্বিতীয় সেমিস্টারে উত্তীর্ণ করে দিতে হবে। তাদের অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ শুরুর দিন থেকে তাদের উপর নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিয়ে আসছে। কলেজে এমন বিষয় রয়েছে যেগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অপরিচিত।

 কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করছে সেই অপরিচিত বিষয়গুলোর ওপর পড়াশুনা করতে। এরপর রয়েছে বইয়ের একটা ঘাটতি। লাইব্রেরিতেও সঠিকভাবে বই পাওয়া যাচ্ছে না। এটা ঠিক কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশকেকে মান্যতা দিতে গিয়ে রাজ্য সরকার বিদ্যালয় স্তর থেকে শুরু করে কলেজ স্তর পর্যন্ত এমন কিছু বিষয়ের উপর পঠন-পাঠন চালু করেছে, যে বিষয়গুলো সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীরা সত্যি সত্যিই অপরিচিত।  উদাহরণ স্বরূপ তুলে ধরা যেতে পারে হিন্দি বিষয়টিকে। হিন্দি রাষ্ট্রীয় ভাষা হওয়ার সুবাদে ছোট থেকে বড় সকলেই কম বেশি হিন্দি বলতে পারেন। কিন্তু হিন্দি বিষয়টা অধ্যায়ন খুবই কঠিন। কারণ দীর্ঘ দশকের পর দশক রাজ্যে  সংস্কৃত ভাষায় ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করেছে সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণীতে। পরবর্তী সময়ে নবম- দশম -একাদশ- দ্বাদশ এবং কলেজ স্তরে ছাত্রছাত্রীরা সংস্কৃত বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেছে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী। কিন্তু সাম্প্রতিককালে রাজ্যের স্কুল এবং কলেজ গুলোতে হিন্দি বিষয়ে পঠন পাঠন চালু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। কারণ হিন্দি বিষয়ের উপরেও গ্রামার রয়েছে। রয়েছে আরও আনুষাঙ্গিক বিষয়। হিন্দি বিষয় পড়ার জন্য ছাত্রছাত্রীরা সঠিকভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা খুঁজে পাচ্ছেন না। বিদ্যালয় কিংবা কলেজ স্তরে হিন্দী বিষয়ক ক- জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন তা নিয়েও রয়েছে  সংশয়।  যার কারণেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের হিন্দি বিষয়ে পঠন পাঠনে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও কেউ প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না এই ক্ষোভকে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের পদাধিকারীরা অবগত হলেও ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে মন্ত্রীকে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য