স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ সেপ্টেম্বর : রাত বারোটা নাগাদ পুলিশের উপস্থিতিতে এক শিক্ষকের বাড়িতে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা ভয়াবহ আক্রমণ সংগঠিত করে। এই ঘটনায় আহত হন শিক্ষক সমীরণ কর্মকার, আইনজীবী রকি মুড়াসিং, ভিকি মুড়াসিং, জয়ন্ত চক্রবর্তী সহ মোট পাঁচজন। এই ঘটনা সংঘটিত হয় রাজধানীর এনসিসি থানার অন্তর্গত কুমারী টিলা এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শনিবার রাতে সমীরন কর্মকারের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে যায় চার থেকে পুরুষ লোক। এবং যারা নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিলেন তারা সকলে নাকি সমীরণ কর্মকারের স্ত্রীর ভাই হয়।
রাত বারোটা নাগাদ তাদের খাবার দেওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্ত এসে বাড়ির গেটে ডাকাডাকি শুরু করে। তখন বাড়ির মালিক সমিরন কর্মকারের স্ত্রী গেট খুলে দিলে দুর্বৃত্তরা মেয়ে কোথায় বলে চিৎকার করে প্রবেশ করে ঘরের ভেতর। তখন উপস্থিত জয়ন্ত চক্রবর্তী তাদের জিজ্ঞাসা করেন কিসের মেয়ে? এই কথা বলার সাথে সাথেই দুর্বৃত্তরা তাদের মারধর শুরু করে। এমনকি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় বাড়ির লোকজনেরা। তাদের সাথে ছিল পুলিশের পোশাক পরিধানকারী দুজন। খবর দেওয়া হয় সিটি কন্ট্রোলে। তারা এসে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় জিবি হাসপাতালে।
রবিবার এনসিসি থানায় মামলা দায়ের করে ঘটনার সম্পর্কে এমনটাই জানান জয়ন্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন দুর্বৃত্তরা তাদের মোবাইল ফোন দুটি চুরি করে নিয়ে গেছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন হল সমিরন কর্মকারের পাশের বাড়ির সানি। তারা সকলে শাসক দল সমর্থিত বলে অভিযোগ। এখন দেখার বিষয় সুষ্ঠু তদন্ত হলে সামনে কি উঠে আসে। তবে প্রশ্ন হল যারা দাবি করছেন কোন কারণ ছাড়াই দুর্বৃত্তরা এভাবে আক্রমণ সংগঠিত করছে, তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন কি কারনে এ ধরনের আক্রমণ করবে তারা? এবং সবটাই কিভাবে পুলিশের সামনে সংগঠিত হতে পারে? আসলে পেছনে রহস্য কি? সুষ্ঠু তদন্ত হবে তো?