স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ আগস্ট : সাম্প্রতিককালে ভয়াবহ বন্যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেস পান্ডে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন এই ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। এছাড়া আহত দুজন একজন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের আটটি জেলায় ৩৪৬ টি ত্রাণ শিবির চালু রয়েছে। ৫২, ৯০৬ জনকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে সেই ত্রাণ শিবির গুলোতে। রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন খাদ্য সহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করে চলেছে সর্বত্র।
বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সঙ্গে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও। ১৬৩ টি স্কুল ছাড়া রাজ্যের বাকি সবকটি অর্থাৎ ৪৭৩৪ টি স্কুল খোলা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেস পান্ডে বন্যা কবলিত জেলায় শরণার্থী শিবিরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি জানানো হলেও উদয়পুর মহকুমার আমতলী হাই স্কুলে দেখা গেল এক অন্য চিত্র। খাবার ও পানীয় জলের সংকটে বন্যা দুর্গতদের অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শরণার্থীদের অভিযোগ, তারা কেমন আছে তার খবর নিচ্ছে না প্রশাসন। অন্যদিকে ১৬৩টি স্কুল ছাড়া ৪৭৩৪ টি স্কুল খোলা হলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু ছাত্র-ছাত্রী ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে।
কারণ বন্যা কবলিত এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বইখাতা জলে তলিয়ে গেছে। আবার কারো কারো বই খাতা জলে ভিজে গেছে। স্কুল খোলার পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও বই ছাড়া তারা কিভাবে পঠন পাঠন করবে তা নিয়ে পড়েছে দুশ্চিন্তায়। যতটুকু খবর তাতে আসন্ন দুর্গাপূজার আগে অর্থাৎ অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা শেষ করতে চলেছে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর। এইরকম পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার জন্য কতটুকু প্রস্তুত স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।