স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ আগস্ট : ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ভালো করেই জানতো তাদের পাশে জনসমর্থন নেই। তাই তারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে একতরফা ভোটগ্রহণ এবং ভোট গণনা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেছে। তাদের এই ধরনের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শুধুমাত্র প্রহসনাত্মক করেনি, রাজ্যে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা।
তিনি বলেন, বিজেপি কোন রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটা গুন্ডাদের এজেন্সি। তাই তারা সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আর পুলিশ তাদের লেজুরবৃত্তি করেছে। পুলিশের দায়িত্ব ছিল শাসক ও বিরোধী সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং কর্মী সমর্থকদের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তা তো দূরের কথা, পুলিশের সামনে ভোট গণনার কেন্দ্র থেকে বিরোধী দলের কাউন্টিং এজেন্টদের পিটিয়ে বের করে দেওয়া হলেও পুলিশ ছিল নির্বিকার। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই পুলিশের সামনে সবকিছুই ঘটেছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়গুলি রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিককে অবগত করলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। এদিন তিনি বেশ কয়েকটি আসনের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কাঠালিয়া ব্লকের বেজিমারা পঞ্চায়েতে বিরোধীদের যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা মিলছিল তখন শাসক দলের দুর্বৃত্তরা বিরোধীদের উপর আক্রমণ করে এবং তালা বন্দী করে রেখে দেয়।
২৫ জন বিরোধী দলের কর্মী সমর্থক আহত হয়। অপরদিকে গৌরনগর ব্লকে রাত জেগে ভোট গণনার লড়াই করতে হয়েছে বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামানকে। তারা যদি প্রতিরোধ গড়ে না তুলত তাহলে সুষ্ঠভাবে ভোট গণনা হতো না। একি অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে কদমতলা ব্লকে। সেখানে বিরোধীরা ভালো ফলাফল করছিল। কিন্তু যখন শাসক দল দেখতে পায় বিরোধীরা তাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন সেখানে ঝামেলা সৃষ্টি করে ভোট গণনা বন্ধ করে দেয়। কালাছড়া কেন্দ্রে যখন কংগ্রেস জয়ী হয় তখন বিরোধীদের বের করে দেয় শাসক দলের দুর্বৃত্তরা। এসবগুলি ঘটনা পুলিশের সামনে ভোট গণনা কেন্দ্রে সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরো বলেন, ডাবল ইঞ্জিনের সরকার একের পর এক দুর্নীতি করে চলেছে। এর বিরুদ্ধে সহসাই কংগ্রেস ময়দানে নামবে। এবং এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড়সড়ো আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি নীলকমল সাহা সহ অন্যান্যরা।