স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ আগস্ট : পুলিশ প্রশাসনের বাড়তি অক্সিজেনকে ব্যবহার করে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি আসন জবরদখল করেছে বিজেপি। এমন গুরুতর অভিযোগ উঠে এলো উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমাধীন কালাছড়া ব্লক এলাকা থেকে। অভিযোগ গণনার নামে শাসক দলের কতিপয় দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার হয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতে হয় বিরোধী দল সিপিআইএমের এজেন্টদের।
তাদের দাবি একাধিক পঞ্চায়েতে জয়লাভ করেছিল সিপিআইএম। কিন্তু রাত ঘনিয়ে আসতেই পুনরায় ভোট গণনার অপচেষ্টা চালিয়ে মাত্র ১৩ টি আসন ছাড়া বাকি ৯ টি আসন বিজয়ী ঘোষণা করা হয় শাসকদল বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষে। তাছাড়া কালাছড়া ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির ১১ ও ১৩ নং সমিতি আসনের সিপিআইএম মনোনীত প্রার্থী প্রিয়তোষ শর্মা ও জয়নাল উদ্দিন জয়ী হওয়ার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের হারানো হয়েছে। বিশেষ করে কালাছড়া ব্লকে অধীনে মোট ১৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, তার মধ্যে ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসক বিজেপি।
ভোট হয়েছে ১২ টি পঞ্চায়েতে। বুধবার বিরোধী শিবিরের জয়ী প্রার্থীরা সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরেন। সিআইএম প্রার্থী জয়নাল উদ্দিন আরো গুরুতর অভিযোগ করে বলেন কালাছড়া ব্লক আধিকারিক তথা রিটার্নিং অফিসার উল্লেখিত সিপিআইএম প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করার পরও পরবর্তীকালে রি-কাউন্টিং -এর জন্য এজেন্ট দের কাউন্টিং হল থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পরে শাসক দলের প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া জেলা পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী শিবির সিপিআইএম। তারা জানান এভাবে করে সিপিআইএম কে আটকানো যাবে না, শুধু কালাছড়া ব্লক নয় গোটা বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্র সহ সমস্ত রাজ্যের মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তাতে আগামী দিনে এই দাম্ভিক বিজেপির পতন হবে এটা নিশ্চিত বলে দাবি করেন সিপিআইএম নেতৃত্ব জয়নাল উদ্দিন।