Tuesday, September 10, 2024
বাড়িরাজ্যসাব্রুমে বন্যায় ৯৯ পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল ত্রান শিবিরে, অসাবধানতার কারণে মৃত্যু হয়েছে...

সাব্রুমে বন্যায় ৯৯ পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল ত্রান শিবিরে, অসাবধানতার কারণে মৃত্যু হয়েছে একজনের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ আগস্ট : বন্যায় বিপর্যস্ত সাব্রুম মহকুমার নিম্নাঞ্চল। শনিবার রাতে বৃষ্টি না হলেও রাত দুটো পর্যন্ত ফেনীর জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে থাকে। এমন অবস্থায় সাব্রুম নগর পঞ্চায়েত সংলগ্ন দোলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের মগপাড়া এলাকা থেকে গভীর রাতে প্রায় ৫৭ জন পরিবারকে মহকুমা বিপর্যয় মোকাবেলা কর্মীরা তুলে নিয়ে আসে দোলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ত্রান শিবিরে।

 রাতেই তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। সাব্রুম মহকুমাতে মোট ছয়টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়। এই ছয়টি ত্রাণ শিবিরে ৯৯ পরিবারের মোট ৩৫১ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়। ত্রাণ শিবির গুলি হল- বৈষ্ণবপুর কমিউনিটি হল, বৈষ্ণবপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, দৌলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, সাবরুম দ্বাদশ শ্রেণি বালিকা বিদ্যালয়, থাইবুংপাড়া জেবি স্কুল, প্রবাল পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার। এদিকে শনিবার সকাল ৯ টার দিকে মনমোহন ত্রিপুরা বন্যার জলে তলিয়ে যায়। তিনি শ্যামপাড়ার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মনোমোহন নেশাগ্রস্ত  ছিল। সকলের নিষেধাজ্ঞা পরেও সে বন্যার জলের দিকে হাঁটতে শুরু করাতে এই বিপত্তি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মহকুমা বিপর্যয় মোকাবেলা দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। বিলোনিয়া থেকে ছুটে আসে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা দল। বিপর্যয় মোকাবেলা দলের চারজন ডুবুরি বিকাল ৪টা থেকে বহু চেষ্টা করেও নিখোঁজ মনমোহন ত্রিপুরার কোন খোঁজ পায়নি। সন্ধ্যা নেমে আসায় তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। আগামীকাল ফের তল্লাশি অভিযান চলবে।

বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট শিবজ্যোতি দত্ত জানান, মহকুমা বিপর্যয় মোকাবেলা দলসহ পুরো টিম গতকাল সারারাত সক্রিয় ছিল। গভীর রাতে ফেণী নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে চলার কারণে মগপাড়া থেকে প্রায় ৫৭ পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়। গতকাল রাতেই তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করানো হয়। কয়েল এবং ক্যান্ডেল দেওয়া হয়। তিনি জানান, শনিবার সকাল ৯ টার দিকে ফেনী নদীর জল কমে যাওয়ার কারণে চারটি ত্রান শিবির বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাকি দুইটি ত্রাণ শিবির আগামীকাল বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে ত্রান শিবিরগুলোতে শনিবার দুপুর বেলা এবং রাতের বেলাও খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চলছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।গোটা কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন ডিসিএম রতন দাস এবং নকুল পাল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য