Monday, September 16, 2024
বাড়িরাজ্যবাবার পাশবিক লালসার শিকার নয় বছরের শিশু কন্যা, থানায় দাঁড়িয়ে বাবার ফাঁসি...

বাবার পাশবিক লালসার শিকার নয় বছরের শিশু কন্যা, থানায় দাঁড়িয়ে বাবার ফাঁসি চাইল শিশু কন্যা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ জুলাই : এ কেমন ঘটনা ? যে পিতা ভগবানের সমান হয় তার দ্বারাই নরকীয় পাশবিক লালসার শিকার মাত্র নয় বছরের শিশু কন্যা! যখন পুতুল খেলার বয়স তখন এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়ে থানায় দাঁড়িয়ে বাবার ফাঁসি দাবি করছে মেয়ে! এই ঘটনা তীব্র ছিঃ ছিঃ রব তুলেছে রাজধানীর এ.ডি নগর সর্ব ধর্ম মিশন এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত পিতা তার তৃতীয় শ্রেণীর পাঠরত কন্যাকে ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানি করে চলেছে। বিষয়টি শিশু কন্যার ভাই দেখে ফেলার পর তার মাকে জানায়।

তারপর শিশুকন্যার মা জানতে পারে ঘটনা সত্যিই। শিশু কন্যার মা পরবর্তী সময়ে পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানায় স্বামী তথা শিশু কন্যার পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ফাঁসির দাবি করেন। অভিযোগ প্রতিনিয়তই পাষণ্ড বাবা পরিবারের অন্যান্যদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে একাধিকবার তার নয় বছরের নাবালিকার শিশু কন্যার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। এমনকি ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য প্রাণনাশের হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। ঠিক একই ভাবে গত ২৪ জুলাই আবারো নাবালিকা শিশু কন্যার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় তার পাষণ্ড বাবা। বিষয়টি নজরে আসে শিশু কন্যার ভাইয়ের। তারপর তার মা বাড়িতে ফেরার পর গোটা ঘটনা জানায়। তারপর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার সততা পায়। এদিকে গোটা ঘটনা পরিবারের অন্যান্য লোকজনেরা জানতে পারায় অভিযুক্ত পাষণ্ড বাবা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

অবশেষে ধর্ষিতা নাবালিকা শিশু কন্যার মা তার মেয়েকে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় মঙ্গলবার অভিযুক্ত পাষণ্ড বাবার বিরুদ্ধে লিখিত আকারে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের অভিযোগ করেন। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে গোটা ঘটনা তুলে ধরে স্বামীর ফাঁসি চায় অসহায় গৃহবধূ। অভিযুক্ত নরপিশাচের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, ঘরে স্ত্রী, শিশু কন্যা ও শিশু পত্রকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। তার কুকৃর্তীতে হতবম্ব গোটা পরিবার সহ সমাজের সব অংশে মানুষ। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত পিতার বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবি জানিয়েছে শিশু কন্যা। সে জানায় তাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এ ধরনের অত্যাচার চালিয়ে গেছে তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে তার ভাই এবং তার মা সাথে থাকায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে পেরেছে বলে জানায়। তবে এই ঘটনা আরো একবার প্রমাণ করলো নারীরা কি তার পরিবারের লোকজনের কাছেও সুরক্ষিত নয়? এটা কেমন পাষণ্ড ? এখন দেখার বিষয় পশ্চিম মহিলা থনার পুলিশ কত দ্রুত অভিযুক্তকে জালে তুলতে পারে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য