স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ জানুয়ারি : টি.এস.আর ১১ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন বাবুল দাস। অভিযোগ ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাবুল দাস বিশালগড় থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত বাবুল দাসের বিরুদ্ধে বিশালগড় মহিলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বাবুল দাসকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
আদালতের নির্দেশে বাবুল দাসকে জেল হেপাজতে রাখা হয়। মামলার তদন্তকারি অফিসার ঝুমা দাস মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। তারপর আদালতে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলাকালিন সময় মোট ১৩ জন সাক্ষির সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করা হয়। অভিযুক্তকে জেলে রেখে এই মামার বিচার প্রক্রিয়া চলে। বৃহস্পতিবার বিশালগড় মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জর্জ অভিযুক্ত বাবুল দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী রিপন সরকার জানান ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ AB ধারায় আসামিকে ২০ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাবাসের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করা হয়।
দুইটি সাজা এক সাথে চলবে বলেও জানান তিনি। আসামীর পক্ষ থেকে জরিমানার টাকা জমা করা হলে, সেই টাকা ধর্ষিতাকে প্রদান করা হবে। আদালতের এইদিনের রায়ের ফলে খুশি ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন। উল্লেখ্য আদালত এইদিন আসামী বাবুল দাসকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ AB ধারায় ২০ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাবাসের সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করে।