স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ নভেম্বর : সাইবার ক্রাইম মামলায় আটক আমবাসার দুই যুবক ও বিহারের এক ব্যক্তি। আমবাসা চান্দ্রাইছড়া এলাকার কার্তিক দেবনাথ অধিক অর্থ উপার্জনের লোভ ছিল সে বহু আগে থেকেই বিভিন্ন ভাবে অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পরে। সেখান থেকে কার্তিক ভালো কমিশন পেয়ে থাকে। চলতি মাস পর্যন্ত সেই ফ্রড কোম্পানির কাছ থেকে কার্তিক চার লক্ষ টাকা কমিশন বাবদ পাওয়ার কথা।
কিন্তু কোম্পানি কার্তিককে বলে কারোর ব্যাঙ্ক একাউন্ট নাম্বার এবং ওটিপি দেওয়ার জন্য। তখন অতি চালাক চতুর প্রকৃতির লোক কার্তিক ডলুবাড়ী এলাকার সহজ সরল হরিলাল দাসের একাউন্ট নাম্বার ওটিপি সহ কোম্পানীর এজেন্টদের দিয়ে দেয়। তারপর হরিলালের একাউন্ট ব্যবহার করে চলছে কোটি কোটি টাকার লেনদেন, যদিও এই বিষয়ে হরিলাল কিছুই জানতো না। কিন্তু কার্তিক সে তার চার লক্ষ টাকা কমিশন পাওয়ার লোভে ফাঁসিয়ে দিল হরিলাল কে। যদিও হরিলাল তার একাউন্ট হ্যাক হয়েছে বলে থানায় জানিয়ে একাউন্ট ব্লক করেন। এদিকে বিহার রাজ্যের নালন্দা থেকে তুষার কুমারের বক্তব্য সে আমেরিকা যাওয়ার জন্য হরিলালের একাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে, কিন্তু সে টিকিট পায়নি।
তুষার আমবাসায় এসে ইডি সিবিআই এর ভয় দেখিয়ে তার টাকা নিতে আসে। পুলিশ ঘটনার আভাস পেয়ে তুষার কুমার, হরিলাল দাস এবং কার্তিক দেবনাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল থানায় নিয়ে আসে। কার্তিক দিরাঙ্গামনে ছিল পুলিশ সেখান থেকে তাকে তুলে আনে। এদিকে পুলিশ তাদের তিনজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তিনজন উভয়েই এই ঘটনার সাথে জড়িত। এদিকে বুধবার রাতে ঘটনার রফা করতে যুব কংগ্রেসের এক নেতা চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কাজ হয়নি, কার্তিক দেবনাথ তার স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আনার জন্য শাসক দলের এক নেতা থানায় ছুটে যায়।
অন্যদিকে গোটা ঘটনার সত্যতা খুঁজে বের করতে পুলিশ বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ঘটনার সাথে বিহার কোলকাতা ব্যাঙ্গালোর সহ ভারতের কোন কোন রাজ্যে এই চক্র সক্রিয় রয়েছে, তার খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের সাইবার ক্রাইমে হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে আমবাসার আরো তিনজন পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। যেকোন সময় তাদের জালে তুলতে পারে এমনটাই থানা সূত্রে খবর। তুষার কুমার ,হরিলাল দাস এবং কার্তিক দেবনাথের বিরুদ্ধে পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।