Tuesday, February 11, 2025
বাড়িরাজ্যস্বামী পর পুরুষের সাথে বিয়ে দিল স্ত্রীকে

স্বামী পর পুরুষের সাথে বিয়ে দিল স্ত্রীকে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ নভেম্বর :  স্ত্রীর যন্ত্রণায় আবেগ, ঘৃণা, বিদ্বেষ সব মিলে একাকার স্বামীর। পরে অতিষ্ট স্বামী নিজ হাতেই পর পুরুষের হাতে তুলে দিল সাত পাকে বাধা হওয়া নিজ স্ত্রীকে। অগ্নিসাক্ষী হলো গৃহবধূ ও বখাটে যুবক। কৈলাশহর মহিলা থানা এলাকায় ঘটে গেল এই ধরনের ঘটনা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় কৈলাশহরের গোবিন্দপুর ১১ নং ওয়ার্ড এলাকার এক তিন সন্তানের জননীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে এলাকার এক বখাটে যুবকের।

 ঐ মহিলার স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বখাটে যুবক নিপেন্দ্র ঋষি দাস মহিলার ঘরে গিয়ে উপস্থিত হয়। মহিলার সন্তানদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে নিপেন্দ্র ঋষি দাস ঐ মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। বেশ কয়েকমাস ধরে এলাকাবাসিরা তাদের এই অপকর্ম লক্ষ্য করে আসছে। এই নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার বিচার হয়। ঐ মহিলা ও যুবককে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু ঐ মহিলা ও যুবকের অবৈধ সম্পর্ক চলতে থাকে। তাদের চাল চলনে এলাকার পরিবেশ ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। বখাটে ঐ যুবক এলাকার অন্যান্য মহিলাদের প্রতিও কু-নজর দিত। বলতে গেলে ঐ মহিলা ও যুবকের অবৈধ সম্পর্কে অতিষ্ঠ হয়ে পরে এলাকার লোকজন। শনিবার মহিলার স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নিপেন্দ্র ঋষি দাস নামে ঐ যুবক মহিলার ঘরে উপস্থিত হয়। মহিলা ও যুবক ঘরে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরে এলাকার সকলে মিলে মহিলার বাড়িতে উপস্থিত হয়। ঘর থেকে অসংলগ্ন অবস্থায় মহিলা ও নিপেন্দ্র ঋষি দাসকে আটক করে এলাকার লোকজন। এলাকার লোকজন জানান নিপেন্দ্র ঋষি দাস ও ঐ মহিলাকে বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তাই এইদিন তাদের অসংলগ্ন অবস্থায় ঘর থেকে আটক করার পর গ্রামের সকলের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে মহিলার স্বামী ও কৈলাশহর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। মহিলা পুলিশ কর্মীরাও এইদিন ঐ মহিলা ও নিপেন্দ্র ঋষি দাসের বিষয়ে সাক্ষি ছিলেন। বিয়ের পর নিপেন্দ্র ঋষি দাস ঐ মহিলাকে সাথে নিয়ে মহিলার প্রাক্তন স্বামীর সামনে থেকে চলে যান।

এবং গ্রামবাসিদের সামনে নিপেন্দ্র ঋষি দাস স্পষ্ট জানিয়ে যায় সে ঐ মহিলাকে নিয়ে সংসার করবে। কিন্তু মহিলার তিন সন্তান মহিলার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই তিনটি শিশুর কি অপরাধ। তাদেরকে কেন অকালে মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হতে হল। পরকীয়া আইনত অপরাধ না হলেও এই তিন শিশুকে মাতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত করার জন্য ঐ মহিলা কি অপরাধী নয়। উত্তরটা হয়তো সময় দেবে। কারন সমাজে পরকীয়া দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহু শিশু মা বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা শিশুদের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাড়ায়। বেশি দূর নয়, হয়তো আগামি কয়েক বছর পর এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে সকলকে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য