স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুলাই : একটা সময় সুনামের সাথে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশানের যথেষ্ট সুনাম থাকলেও, বর্তমানে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে টিসিএ কলঙ্কিত। এক গোষ্ঠীতে রয়েছেন খোদ টিসিএ-র সভাপতি তপন লোধ। অপর গোষ্ঠীতে রয়েছেন টিসিএ-র সহসভাপতি তিমির চন্দ, সচিব তাপস ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীকে অবৈধ বলে দাবি করে আসছে বেশকিছুদিন ধরে। এইনিয়ে একটি গোষ্ঠী টিসিএ-র অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। মূলত দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সমস্যার সুত্রপাত হয়। তিনদিন টিসিএ অফিসে তালা থাকার পর শুক্রবার টিসিএ-র সভাপতি তপন লোধের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সদর মহকুমা প্রশাসন টিসিএ অফিসের তালা ভেঙ্গে অফিস খুলে দেয়। তারপর সভাপতি তপন লোধ অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন। এরই মধ্যে টিসিএ-র সচিব তাপস ঘোষ, সহসভাপতি তিমির চন্দরা শনিবার সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দ্বারস্থ হন তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। কারন তারা টিসিএ অফিসে যাবে। সেই মোতাবেক সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনীর উপস্থিতিতে তাদেরকে অফিসে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু তারা টিসিএ অফিসে যাওয়ার সাথে সাথে অফিসের সামনে জড়ো হয়ে যায় বেশকিছু ক্লাবের সমর্থকরা। তারা রীতি মতো টিসিএ-র সচিব, সহসভাপতিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। একটা সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে তাপস ঘোষরা আশ্রয় নেন পশ্চিম আগরতলা থানার সামনে। তারপর টিসিএ-র সচিব তাপস ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন ওনাদেরকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। টিসিএ-অফিসের সামনে কিছু দুষ্কৃতি তাদেরকে নির্যাতন করেছে। দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তার দাবি জানান। তিনি আরও জানান টিসিএ-র সভাপতি তপন লোধের নেতৃত্বে এই ঘটনা সংগঠিত করা হয়েছে।এই ঘটনার মাঝে টিসিএ অফিসে যান সভাপতি তপন লোধ। ওনাকে ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান এইদিনের ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি আরও জানান টিসিএ-র জেনারেল বডির মিটিং-এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন ক্লাব গুলি যে সকল অভিযোগ উত্থাপন করেছে, সেই সকল অভিযোগের তদন্ত করা হবে। তদন্তের জন্য রাজ্য সরকারের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাপস ঘোষ, তিমির চন্দরা অফিসে আসতে পারবে না। তদন্ত শেষ হওয়ার পর তারা পুনঃরায় অফিসে আসতে পারবে।টিসিএ-র দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বর্তমানে টিসিএ-র ভাগ্য এক প্রকার ঝুলে রয়েছে। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় কালিমালিপ্ত হচ্ছে টিসিএ। তবে এইদিন টিসিএ অফিস চত্বরে যারা ভিড় জমিয়েছে তারা খেলা ধুলার সাথে কতটা যুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এখন দেখার টিসিএ-র ভবিষ্যৎ আগামিদিন কোথায় গিয়ে দাড়ায়।