Saturday, June 14, 2025
বাড়িরাজ্যপুলিশকর্তার শ্বশুর মশাইয়ের মদের ঠেক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল ব্যবসায়ীরা

পুলিশকর্তার শ্বশুর মশাইয়ের মদের ঠেক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল ব্যবসায়ীরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জুলাই : মেয়ের জামাই পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর হওয়ার সুবাদে বাড়িতেই মদের ঠেক বসালেন শ্বশুরমশাই সন্তোষ দেবনাথ। সেই মদের থেকে হানা দিলেন ব্যবসায়ীরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্তার শ্বশুরের মর্যাদা রক্ষা করতে ছুটে এলো আমতলী থানার পুলিশ। ঘটনার কাঞ্চনমালা বাজারে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দেশি মদ বিক্রি করে আসছে সন্তোষ দেবনাথ নামে এই ব্যক্তি। স্থানীয় কাঞ্চনমালা বাজার ব্যবসায়ীরা একাধিকবার মদ ব্যবসায়ী সন্তোষ দেবনাথকে মদ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য বলে, কিন্তু সন্তোষ দেবনাথ অবৈধ মদের ব্যবসা কোনভাবে ছাড়তে পারেনি। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঞ্চনমালা সবজি বাজারে মদ বিক্রি করে চলেছে। মদ ব্যবসায়ী সন্তোষ দেবনাথের মেয়ের জামাই ত্রিপুরা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। আর তাই মেয়ের জামাইয়ের দাপট দেখিয়ে এতদিন অবৈধভাবে মদের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। বেশ কয়েকবার কাঞ্চনমালা বাজারের ব্যবসায়ী সন্তোষ দেবনাথের মদের ব্যবসায় বাধা দিতে গেলে মেয়ের জামাই সাব ইন্সপেক্টরকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগ। অবশেষে ব্যবসায়ীদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে বুধবার রাতে। স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে সন্তোষ দেবনাথের মদের ঠেকে অভিযান চালায়।

 বাজার ব্যবসায়ীরা সেদিন অভিযান চালিয়ে অনেকগুলো মদের বোতল এবং ড্রাম ভর্তি দেশি মদ নষ্ট করে দেয়। পরে বাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় আমতলী থানায়। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ ও টি এস আর বাহিনী ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, সন্তোষ দেবনাথের এই মদের ব্যবসার কারণে কাঞ্চনমালা বাজার সহ বাজারের আশেপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করতে পুলিশের আরেক সাব ইন্সপেক্টর আমতলী থানা থেকে ছুটে আসেন। কিন্তু দেখা গেছে তিনিও সঙ্গ দিলেন কলিগের। কলিগের শ্রদ্ধার শশুর মশাই সন্তোষ দেবনাথকে গ্রেপ্তার করা তো দূরের কথা জিজ্ঞাসা বাদ পর্যন্ত করেননি। এলাকায় ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীদের শান্ত করে সেখান থেকে চলে আসেন। আর এটাই নেশা মুক্ত ত্রিপুরার আরো হাস্যকর ছবি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য