স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ মে : সরকার বুঝতে পারছে সন্ত্রাস করে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি করা যায় না। কারণ ২০১৮ সালের পর এই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিজেপি আসন সংখ্যা এবং ভোটের হার কমেছে। সোমবার ভানু ঘোষ স্মৃতি ভবনে প্রয়াত বিধুভূষণ মালাকারের স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। তিনি এদিন প্রয়াত সিপিআইএম নেতা বিধুভূষণ মালাকারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রেখে বলেন, এক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে রাজ্যের মানুষ।
২০১৮ সালে সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বহু অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছাটাই হয়েছিল। দ্বিতীয়বার তারা সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়ে আবারো ছাঁটাই করছে। রেগা কাজ মিলছে না শ্রমিকদের। কাজ হলে শ্রমিকরা তাদের মজুরি পাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সি ডি পি ও অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে। অপরদিকে রাস্তা ভেঙ্গে চচির। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সরকার কোথায় ? এই প্রশ্নটি তুললেন পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। তিনি বলেন, গত বিধানসভায় নির্বাচনে বামফ্রন্টকে পরাজিত করতে বিজেপি নানা পন্থা অবলম্বন করে মানুষের কাছে গিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছিল।
এখন তারা পুনরায় সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০১৮ সালের পর যেভাবে সরকার পরিচালনা করেছে সেভাবেই রাজ্য আবারো পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। ছাত্র যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে জনগণের সমস্যা নিরসনের জন্য কাজ করতে হবে। কারণ রাজ্য কাজ নেই, খাদ্য নেই। এবং আন্দোলন শুধু আগরতলায় গড়ে তুললে চলবে না। রাজ্যে সবকটি মহকুমায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তবে রাজ্যে পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে জনগণের সমস্যা যাতে সমাধান হয় তার জন্য কাজের ধারাও বাড়াতে হবে বলে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন শ্রী সরকার। ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির আয়োজিত স্মরণসভায় এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।