Thursday, April 25, 2024
বাড়িরাজ্যঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলে রাস্তা অবরোধ করলো গ্রামবাসী

ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলে রাস্তা অবরোধ করলো গ্রামবাসী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ জানুয়ারি : দীর্ঘ তিন বছর ধরে রাস্তা নির্মানকারী সংস্থার খামখেয়ালি এবং তালবাহানার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসী রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ঘটনা কৈলাসহরের পূর্ব কাউলিকুড়া গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে কৈলাসহর মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমাশাসক নবকুমার জমাতিয়া সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা এবং কৈলাসহর থানার বিশাল পুলিশ ও টি.এস.আর বাহিনী হাজির হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, এন এইচ আই ডি সি এল কোম্পানি কৈলাসহর-কুমারঘাটের রাস্তার বরাদ্দ পাবার পর কোম্পানি ‘সতীশ প্রসাদ কনস্ট্রাকশনকে’ দিয়ে বিগত সাড়ে তিন বছর পূর্বে কাউলিকুড়া গ্রামের উপর দিয়ে কৈলাসহর- কুমারঘাটের ডাবল লেনের কাজ শুরু হয়। পুরনো রাস্তা ভেঙে পাহাড় কেটে নতুন করে মাটি ফেলে ডাবল লেনের কাজ শুরু করা হয়। এর ফলে ডাবল লেনের রাস্তা অনেকটা উঁচুতে উঠে যাওয়াতে রাস্তার পাশের বাড়ি ঘর নীচু হয়ে যায়। তাছাড়া রাস্তার দুপাশে ড্রেন এবং কালভার্ট নির্মান করা হয়নি। কিংবা রাস্তার পাশে ড্রেন এবং কালভার্ট করার কোনো পরিকল্পনাও নেই নির্মানকারী সংস্থা সতীশ প্রসাদ কনস্ট্রাকশনের। 

 যার ফলে, সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তার পাশের বাড়ি ঘর সহ গোটা গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যায়। রাস্তার পাশে ড্রেন কিংবা কালভার্ট নির্মান না করায় গ্রামের বাড়ি ঘর জলমগ্ন হবার পাশাপাশি গ্রামের ধানের ক্ষেতের প্রচুর ধান ও সব্জি ক্ষেতের প্রচুর সব্জি নষ্ট হয়েছে। বিগত দুবছর ধরে গ্রামবাসীরা প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর নির্মানকারী সংস্থা সতীশ প্রসাদ কনস্ট্রাকশনের আধিকারিকদের সাথে গ্রামবাসীরা দফায় দফায় কয়েকবার কথা বলার পর গ্রামবাসীকে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো মাটির কাজ শেষ হবার পর পিচের কাজ শুরু হবার আগেই ড্রেন এবং কালভার্টের কাজ করা হবে। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে পীচের কাজ শুরু করতেই গ্রামবাসীরা তীব্র ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি আটকে রেখে রাস্তার কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। যতক্ষন অব্দি রাস্তার দুপাশে ড্রেন এবং কালভার্টের কাজ শুরু হবে না ততোক্ষণ অব্দি রাস্তার কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানান গ্রামবাসীরা। এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হবার পর অতিরিক্ত মহকুমাশাসক নবকুমার জমাতিয়া সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীদের অনেক বুঝানোর পরও গ্রামবাসীরা তাদের কথাতে অনড় থাকেন। তারপর অতিরিক্ত মহকুমাশাসক নবকুমার জমাতিয়া বিকেল তিনটায় গ্রামবাসীদের নিয়ে এবং নির্মানকারী সংস্থা সতীশ প্রসাদ কনস্ট্রাকশনের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমারের কাছে যায়। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার স্থায়ী সমাধান হবে বলে জানান অতিরিক্ত মহকুমাশাসক নবকুমার জমাতিয়া। উল্লেখ্য, কাউলিকুড়া গ্রামের মানুষ গত দুবছর পূর্বেও একই দাবিতে একই জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলো। সেইসময়, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিলো যে, রাস্তার দুপাশে ড্রেন এবং কালভার্ট করে দেওয়া হবে। তাই গ্রামবাসীরা ১৬ জানুয়ারি স্থানীয় প্রশাসনের মৌখিক কথায় রাজি হয়নি। লিখিত আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ প্রদর্শন প্রত্যাহার করা হবে বলে গ্রামবাসীরা জানানোর পর অতিরিক্ত মহকুমাশাসক নবকুমার জমাতিয়া সবাইকে নিয়ে জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমারের কাছে সবাইকে নিয়ে যান।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য