স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ ডিসেম্বর : আর দেড় থেকে দুমাস আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। রবিবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য সফরে আসছেন। তিনি এদিন আগরতলা স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এসে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। যদিও নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আর প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সফরের ২৪ ঘন্টা আগে ঝড়ো প্রচারে নেমেছেন রাজ্যের ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা।
কারণ ২০১৮ নির্বাচনের আগে তৎকালীন সময়ে ১০,৩২৩ ছিল সবকটি রাজনৈতিক দলের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তখন বর্তমান সরকারের নেতৃত্ব ভীষণ ডকুমেন্টে ১০,৩২৩ -এর সমস্যা সংশোধনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। কারণ ১০,৩২৩ এর সাথে জড়িত তাদের পরিবার। যার প্রভাব হয়তো ভোট ব্যাংকে পড়তে পারে বলে তৎকালীন সময়ে বিজেপি নেতৃবৃন্দ রাজ্যে এসে বুঝতে পেরে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ পৌনে পাঁচ বছরে ১০,৩২৩ এর সাথে সরকারের মানবিক ও অমানবিক সবটা দিকই জনসম্মুখে ফুটে উঠেছে। শনিবার আগরতলা শহরের প্যারাডাইস চৌমুহনি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মানবিক আবেদন রেখে কর্মসূচি পালন করল জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা।
তাদের দাবি প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রচারে এসে তাদের স্থায়ী সমাধানের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা যেন অবিলম্বে বাস্তবায়ন করেন। এদিন কর্মসূচিতে উপস্থিত বিজয় কৃষ্ণ সাহা বক্তব্য রেখে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্লোগান সাবকা সাথ, সবকা বিকাশ। এই স্লোগানকে নিয়ে আজ সরকার প্রতিষ্ঠার এত মাস পর ১০,৩২৩ ব্রতী বস্ত অবস্থা। কারণ ৩৭ লক্ষ রাজ্যবাসীর মধ্যে ১০,৩২৩ এর সাথে সরকার যে ব্যবহার করছে মনে হচ্ছে যেন মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছে তারা। প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশ স্লোগান যাতে তাদের জন্যও কার্যকর হয় এর তাদের আবেদন জানান। পাশাপাশি এই দিন তিনি বর্তমান সরকারের আমলের কিছু নেতা মন্ত্রীদের কাঠ গড়ায় দাঁড় করান। কারণ সেসব মন্ত্রী বিধায়করা বলেন ১০,৩২৩ সিপিআইএমের ক্যাডার। এর পরিপেক্ষিতে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ ভারত চাইছেন। তাই শুধু রাস্তা পরিষ্কার করলে চলবে না। মনের দিক দিয়েও স্বচ্ছ হতে হবে বলে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী বিধায়কদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন। আরো বলেন সরকার প্রতিষ্ঠার আগে যে সমস্যাটি ছিল তা আজও রয়েছে। বরং আন্দোলনের নেমে পুলিশে লাঠিপেটা এবং টি আর গ্যাস খেতে হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানান তিনি। এদিনের আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত চাকুরিচ্যুত শিক্ষক কমল দেব জানান, সরকার যাতে মানবিক হয় তার জন্য এই মানবিক আবেদন করে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আজকের এই কর্মসূচি। কারণ প্রধানমন্ত্রী ৫৮-৫৯ মাস আগে ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে এসে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে আশ্বস্ত করেছিলেন তাদেরও স্কুলমুখী করা হবে। কিন্তু আজও এ স্লোগান বাস্তবায়ন হয়নি। এদিন কর্মসূচির পর বাড়ি ফিরে যায় জে এম সি ১০,৩২৩।