স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ ডিসেম্বর : শিল্পচেতনা ও নান্দনিক বোধ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিকাশের লক্ষ্যে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য ভিত্তিক কলা উৎসব। মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য ভিত্তিক এই উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা স্টেট হায়ার এডুকেশন কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক অরুণোদয় সাহা, সমগ্র শিক্ষা রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা চান্দনি চন্দন সহ অন্যান্যরা।
দু’দিনব্যাপী এই উৎসবে রাজ্যের ৮ টি জেলা থেকে ১৪৪ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। রাজ্য ভিত্তিক কলা উৎসবে নটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এগুলি হল কণ্ঠ সঙ্গীত শাস্ত্রীয়, পরম্পরাগত লোক সংগীত, যন্ত্র সংগীত, নৃত্য, দ্বিমাত্রিক চিত্র অংকন, ত্রিমাত্রিক চিত্র ও ভাস্কর্য, উদ্ভাবনী ভাবনায় খেলনা তৈরি। পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে আরও বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যার গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ২০১৫ সালে এই কলা উৎসবের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সারাদেশ ব্যাপী এই কলা উৎসব এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৬৪ টি কলা রয়েছে। এই শিল্পকলা সম্পর্কে সকলকে অবগত হওয়া উচিত। বহু বিশিষ্ট মানুষ তাদের কলার মাধ্যমে দেশ ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। অফলাইনে বিদ্যালয় থেকে জেলাস্তরে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীরা এই রাজ্য স্তরের কলা উৎসবে অংশ নিচ্ছে। রাজ্য স্তরের বিজয়ীরা জাতীয় স্তরে কলা উৎসবে অংশ নেবে। তবে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতা হবে অনলাইনে। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্নকে সামনে রেখে শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে সামগ্রিকভাবে গুণগত শিক্ষার প্রসার ঘটাতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।