স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ ডিসেম্বর : বনধে আংশিক সারা রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সর্বত্রই ছিল স্বাভাবিক। উল্লেখ্য,
শনিবার কোনাবন জি সি এস ও এন জি সি -তে কর্মরত এক টি এস আর জওয়ানের গুলিতে নিহত হয় দুই টি এস আর অফিসার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ তুলে ত্রিপুরা পিপলস ফন্ট।
এবং ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ৬ ডিসেম্বর বনধের ডাক দিয়েছে। আর সেই মোতাবেক সোমবার সকাল থেকে ছিল বনধের মিশ্র সারা জনজাতি এলাকাগুলিতে। এবং বিভিন্ন স্থানে জাতীয় সড়ক অবরোধ এবং রেলপথ অবরোধের চেষ্টা করেছে ত্রিপুরা পিপলস ফন্টের কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার সকালে তেলিয়ামুড়া ত্রিশাবাড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এবং বড়োমুড়াস্থিত সালকাকামী এলাকায় টি পি এফ দলের বেশ কিছু কর্মীসমর্থকরা পথ অবরোধে সামিল হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ।
অপরদিকে চম্পকনগর আউট পোস্টের থেকে পুলিশ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানরা আসে সালকাকামীতে। প্রথম পর্যায়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ টি পি এফ দলের বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থকদের আটক করে তেলিয়ামুড়া টাউন হলে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময় আরও বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক সালকাকামী স্থিত আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেতে চাইলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। তাছাড়া ত্রিশাবাড়ি স্থিত রেলস্টেশন এলাকায় থেকে ১২ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলাকে আটক করে তেলিয়ামুড়া টাউন হলে নিয়ে আটক করে রাখে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে এক টি.পি.এফ নেতৃত্ব জানান, টি এস আর জওয়ান গুলি করে নৃশংস ভাবে হত্যা কান্ডের ঘটনায় এই প্রতিবাদ। তাছাড়া রাজ্যে আইনের শাসন নেই, রাজ্যে আইনের শাসন পূণরুদ্ধার করতে টি পি এফ -এর ত্রিপুরা বনধ। পুলিশ জানায় এদিন তেলিয়ামুড়া মহকুমা দুটি স্থানে টি পি এফ -এর কর্মী-সমর্থকরা বনধ সাফল্য করতে রাস্তা অবরোধ করতে চেয়েছিল। পরবর্তী সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আটক করা হয় ২৫-৩০ জন পিকেটারকে।
এদিকে দুই টিএসআর জওয়ানের হত্যার সাথে জড়িত অভিযুক্ত সুকান্ত দাসকে ফাঁসির দাবিতে টিপিএফ দলের কর্মীরা আমবাসা রেল রাস্তা এবং দেড় মাইল এলাকায় আমবাসা গন্ডাছড়া সড়ক অবরোধ করে। পরে আমবাসা থানার পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
তবে জাতীয় সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ কারীদের সময় মতো পুলিশ গ্রেফতার করে নেওয়াতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। পাশাপাশি রাজধানী আগরতলা শহরেও বনধের কোনো প্রভাব পড়েনি। সর্বত্র ছিল শান্তিপূর্ণ। অফিস-আদালত স্কুল-কলেজ সবকিছুতে সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। যানবাহন চলাচল ছিল নিত্যদিনের মতো স্বাভাবিক।