Friday, April 19, 2024
বাড়িরাজ্যবিজেপি নেতার ঘরের জন্য সিপিআইএমের ডেপুটেশন, উপস্থিত নেতাও

বিজেপি নেতার ঘরের জন্য সিপিআইএমের ডেপুটেশন, উপস্থিত নেতাও

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ ডিসেম্বর :  আজব কান্ড! এক ব্যতিক্রমী রাজনীতি দেখা গেলো কৈলাসহরের বিলাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে শাসক দলের নেতাকর্মীদের হতাশা বাড়ছে। উল্লেখ্য, বিজেপির যুব মোর্চার বুথ সভাপতি পঞ্চায়েতে বার বার আবেদন করেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পায়নি। বিজেপি দলের এই সক্রিয় কর্মীকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য সি.পি.আই.এম দলের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করলো। সঙ্গে ছিলেন এই বুথ সভাপতিও।

 বিলাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতটি ৫১-ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে অবস্থিত। বিলাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থায়ী বাসিন্দা সূর্যমনি সিনহা। ৫১-ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি যুব মোর্চার তিন নং বুথের বুথ সভাপতি সূর্যমনি সিনহা। অন্ত্যদয় রেশন কার্ড হোল্ডারধারী সূর্যমনি সিনহা এতটাই গরীব এবং দুঃস্থ যে তাঁর থাকার মতো স্থায়ী ঘর নেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সরকারি ঘর পাবার জন্য কয়েকবার আবেদন করেও উনাকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ঘর দেওয়া হয়নি। বিজেপি পরিচালিত বিলাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অন্যান্যদেরকে কয়েক বার বলেছেন, কিন্তু ঘর প্রদান করার তালিকায় তার নাম আসে না। ঘর পাবার জন্য স্থানীয় বিধায়ক সুধাংশু দাশের কাছে গিয়েও কয়েকবার বলেছিলেন বলেও জানান। অসহায় হয়ে সূর্যমনি সিনহা স্থানীয় সি.পি.আই.এম দলের নেতাদের কাছে গিয়ে ঘর না পাওয়ার কথাটা জানান। সিপিআইএম দলের নেতারা সবকিছু শোনার পর জেলাশাসকের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সিপিআইএম কৈলাসহর হাওড় অঞ্চল কমিটির সম্পাদক নীলকান্ত সিনহার নেতৃত্বে দশ জনের এক প্রতিনিধি দল ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক অফিসে গিয়ে লিখিত ভাবে ঘর প্রদান করার জন্য দাবি জানান।

ডেপুটেশন শেষে বিজেপি দলের বুথ সভাপতি সূর্যমনি সিনহা সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়েও প্রকাশ্যেই স্বীকার করেন তিনি শাসক দলের নেতা কিংবা বুথ সভাপতি হবার পরও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজোনার ঘর পাচ্ছেন না। তিনি আরো বলেন তাদের ভোট উন্নয়নমূলক কাজ থেকে পুরোপুরি ভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধুমাত্র কিছু গাছের চারা দিয়ে এলাকার মানুষকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে। এমনটাই জানান সূর্যমনি সিনহা। তিনি আরো বলেন, বিধায়ক সুধাংশু দাসের কোন ভরসা নেই। বহুবার বিধায়কের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিরাশ হয়ে সিপিআইএম দলের কর্মীদের গোচরে নেয় বিষয়টি।

ভোটের প্রাক্কালে শাসক দলের এরকম সক্রিয় কর্মী তথা বুথ সভাপতি ঘর না পেয়ে বিরোধী দলের নেতাদের শরনাপন্ন হওয়ার খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে। কোন দিকে ঝুঁকছে ভাজপার ভবিষ্যৎ জানিও একপ্রকার প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য