স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ অক্টোবর : কুমারঘাটে যে গণধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তার সাথে পুরোপুরি ভাবে জড়িত মন্ত্রীর ছেলে। ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছিল মন্ত্রীর ছেলের ফ্লেটে। সেখানকার মানুষ সবকিছু প্রত্যক্ষ করছে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাটি ধর্ষণ বলে ধাপা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তী সময় কংগ্রেস সেখানে থানায় ঘেরাও এবং বনধ ডাকার পর পুলিশ চাপে পড়ে এক বিবৃতি মাধ্যমে স্বীকার করেছে এটি গণধর্ষণের ঘটনা।
এখন পুলিশ শাসক দলের চাপে পড়ে অভিযুক্ত মন্ত্রী ছেলেকে গ্রেপ্তার করছে না। কংগ্রেস দাবি করে অভিযুক্ত মন্ত্রী ছেলেকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য। শুক্রবার বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই দাবি করলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন মানুষ পূবর্তন সরকারকে খারাপ কাজের জন্য পরিবর্তন করেছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার দেখা যাচ্ছে তার চেয়েও বেশি খারাপ। এই গণধর্ষণ সহ অপরাধমূলক ঘটনার সাথে পুরোপুরি ভাবে জড়িত মন্ত্রীর ছেলে এবং উপপ্রধান থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতারা। আবার এ সরকার সুশাসন বলে প্রচার করছে। কিন্তু যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে তা কুশাসন থেকেও খারাপ। পুলিশের কোনরকম ভূমিকা নেই। ফলে পুলিশের উপর থেকে মানুষের শ্রদ্ধা ভক্তি ধুয়ে মুছে ছাপ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। পাশাপাশি এই সরকারের বিরুদ্ধে আরও সাফাই দিয়ে সুদীপ রায় বর্মন বলেন, চেয়ারে বসে যখন চেয়ারে মর্যাদা রাখতে পারে না তখন ঘৃণা হয়। মানুষ এই ঘটনাগুলির নিন্দা জানাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হচ্ছে যাতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়। কারণ রাজ্যে বিচার বাণী নীভূতে কাঁদছে। সারা রাজ্যে চলছে অবাধে লুটপাট। মানুষ এখন আর এগুলি প্রত্যক্ষ করে শাসক দল বিজেপি’কে মেনে নিতে পারছে না। তাই প্রতিদিন মানুষ যোগদান করছে কংগ্রেসে। এদিন ধোলাই জেলার সভাধিপতি রবি ঘোষ, কর্মচারী নেতা প্রদ্যুৎ কুমার ভট্টাচার্যী, রাজনগর থেকে সিপিআইএম, বিজেপি’র মোট ২৫ জন নেতৃত্ব কংগ্রেসের যোগদান করে বলে জানান সুদীপ রায় বর্মন। এদিন শ্রী বর্মন এবং আশীষ কুমার সাহা যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান। মানুষের ভরসা এখন কংগ্রেস বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সুদীপ রায় বর্মন।