Wednesday, February 12, 2025
বাড়িরাজ্যআবারো সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলে সরকার, হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ক্ষতিপূরণ প্রদানের...

আবারো সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলে সরকার, হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দ্রুত নির্দেশ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ অক্টোবর :  সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সোনামুড়া থানার লকাপে মৃত্যু হয়  সোনামুড়া বলারডেপা এলাকার জামাল হোসেনের। সেদিন রাতের বেলা সোনামুড়া থানার পুলিশ জামালকে পরিবারের লোকজনদের সামনে বেধড়ক মারধর করে থানায় এনে মেরেছিল। পরবর্তী সময়ে জামালের পরিবারকে খবর দিয়ে জানানো হয় জামালের নাকি হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ হাজত হিংসাকে হৃদরোগের গল্প হিসেবে সাজিয়েছিল বলে বলে জানান আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন।

তিনি বলেন জামালের মৃত্যুর পর পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ছিল তার পরিবার। তখন জামালের পরিবারে রিট মামলা অনুযায়ী উচ্চ আদালত বলেছিল জামালের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে নয়, হাজত হিংসায়। তারপর প্রধান বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ মোহান্তি ও বিচারপতি এসজি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ১২ ই জুন রিট মামলার রায়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় হাজত হিংসায় জামালের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা চার সপ্তাহের মধ্যে জামালের স্ত্রী, নাবালক সন্তান ও তার মাকে প্রদান করার জন্য। সোনামুড়া নাগরিক অধিকার মঞ্চের সহায়তা রিট মামলাটি দায়ের করেছিল জামালের স্ত্রী, নাবালক সন্তানরা ও মা। কিন্তু এই রিট মামলার রায় রাজ্য সরকার মেনে নেয়নি। সুপ্রিম কোর্টে ছুটে গিয়েছিল হাজত হিংসায় হত্যার দায় এড়াতে। ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের রায় নাকচ করার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে  এস এল পি দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে জামালের স্ত্রী,  সন্তানরা ও মা  উচ্চ আদালতের রায় অবমাননা করার অভিযোগে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে  স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহা নির্দেশকের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় আদালত নোটিশ জারি করেছে। ১৯ শে  অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের এস এল পি নাকচ করে দিয়েছে। ফলে রাজ্য সরকারের কাছে আর কোন বিকল্প রাস্তা খোলা নেই।

 ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ জামালের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ১০ লক্ষ টাকা অবশ্যই দিতে হবে। পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বিচার পাওয়া গেছে। যদিও জামালকে যারা খুন করেছে, সেই পুলিশ আধিকারিকদের সাজার জন্য জামালের পরিবারের আইনি লড়াই চলবে। কারণ উচ্চ আদালত শুধু ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে। জামালের পরিবার চায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি। রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলির হিংস্র হয়ে ওঠায় দেশে এবং রাজ্যে ক্রমশ হাজত হিংসা বাড়ছে। তাই জামালের হত্যা কান্ডের ঘটনায় উচ্চ আদালতে রায় এবং সুপ্রিম কোর্টের বহাল রাখার বিষয়টি মানব অধিকারের কর্মীদের আশার আলো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও সোচ্চার হয়ে কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য