স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১ অক্টোবর: নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার মিলানের মুখোমুখি হবে জার্মান চ্যাম্পিয়ন লেভারকুজেন। তাদের মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে রাত একটায়।এই মৌসুমে মিলানের শুরুটা ছিল ভীষণ বাজে। সেরি আয় প্রথম তিন ম্যাচে তারা ছিল জয়হীন। চাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে হেরে বসে ৩-১ গোলে। তবে লিগে সবশেষ তিন ম্যাচেই জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কোচ পাওলো ফনসেকার দল।এক মৌসুম পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরা লেভারকুজেন প্রথম ম্যাচে ফেইনুর্ডকে তাদের মাঠেই উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। তবে মিলানের বিপক্ষে কাজটা সহজ হবে না, সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বললেন আলোন্সো।
“এটা সেই ম্যাচগুলোর একটি, যেখানে খেলায় কৌশলী হতে হবে। বল পায়ে থাকুক বা না থাকুক, ধৈর্য ধরতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে, মনোযোগী হতে হবে।”“ইতালিয়ান দল সবসময়ই বিপজ্জনক। তারা ধৈর্য ধরতে জানে। বিপজ্জনক হওয়ার জন্য মিলানকে আধিপত্য করতে হয় না। কখনও কখনও তাদের পজেশন ভালো থাকে, কখনও ভালো পাল্টা-আক্রমণ করে।”চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতালির সফলতম দল মিলান। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। সবশেষ শিরোপাটি তারা জিতেছিল ২০০৭ সালের ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে, যেখানে প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন আলোন্সো।
এর দুই বছর আগের ফাইনালে মিলানকে নাটকীয়ভাবে হারিয়ে লিভারপুলের শিরোপা জয়ী দলেও ছিলেন আলোন্সো। প্রথমার্ধে তিন গোল হজম করা লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধে শোধ করে দেয় সবকটি। তাদের তৃতীয় গোলটি করেন আলোন্সো। ট্রফি উঁচিয়ে ধরে তারা টাইব্রেকারে জিতে।গত মৌসুমে লেভারকুজেনকে অন্য উচ্চতায় তোলা আলোন্সো ফিরে তাকালেন প্রায় দুই দশক আগের ওই স্মৃতিতে।“আমার ক্যারিয়ারের ভিত্তি এটি। ২০ বছর পরও আমরা সেই রাতের কথা বলি। তার দুই বছর পর আমরা মিলানের কাছে হেরেছিলাম, কিন্তু ২০০৫ সালের সেই জয়টি ছিল অবিশ্বাস্য। এটা ২০ বছর আগের ঘটনা, আমাদের এখন আগামীকালের (মঙ্গলবার) কথা ভাবতে হবে।”