Thursday, December 26, 2024
বাড়িখেলাএই ট্রফিটাই নেই আমার: এমবাপে

এই ট্রফিটাই নেই আমার: এমবাপে

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৪ জুন: এবার এমবাপে ফরাসি দলে স্রেফ খেলোয়াড় নন, অধিনায়কের মহাভারও তার কাঁধে। ২০০০ সালে সবশেষ ইউরোপ সেরা হওয়া ফরাসিদের মুকুট ফিরিয়ে দেওয়ার তাড়না অধিনায়ক এমবাপে অনুভব করছেন আরও বেশি।ইউরোর গত আসরে ফ্রান্স ছিল বিবর্ণ, এমবাপে নিজেও ছিলেন ব্যর্থতার খোলসে বন্দী। শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। ওই টুর্নামেন্টে একবারও জালের দেখা না পাওয়া এমবাপে সুইসদের বিপক্ষে টাইব্রেকারেও ব্যর্থ হয়েছিলেন লক্ষ্যভেদ করতে।অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে এবার গ্রুপ পর্বেও কঠিন বাধার মুখে পড়তে হবে ফ্রান্সকে। ‘ডি’ গ্রুপে দিদিয়ে দেশমের দলের তিন প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রিয়া। এমবাপেও মানছেন, তাদের জন্য চলার পথটা মসৃণ নয়; তবে টিএনটি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপচারিতায় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে আশাবাদ জানালেন ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

“নিশ্চিতভাবেই অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। আমার দেশের ইতিহাস লেখার আরেকটি সুযোগ (আমাদের সামনে)। আমি প্রস্তুত।”“অবশ্যই, এটা (লক্ষ্যে পৌঁছানো) কঠিন হবে। সবাই জানে, ইউরো জেতা কতটা কঠিন। কেননা, আমরা দেখতে পাচ্ছি, সবগুলো দল খুবই শক্তিশালী। আমাদের গ্রুপটা ভীষণ কঠিন, কিন্তু আমরা এর জন্য প্রস্তুত।”ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ জিতেছেন এমবাপে; ২০২২ বিশ্বকাপে হয়েছেন রানার্সআপ। ২০২০-২১ মৌসুমের নেশন্স কাপও উঁচিয়ে ধরার অভিজ্ঞতা হয়েছে। কদিন আগে রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই ফরোয়ার্ড এবার খুব করে চান অর্জনের ঝুলিতে ইউরোর ট্রফি দেখতে।“সত্যি বলতে, আমি খুব করে ইউরো জিততে চাই। আমি বিশ্বকাপ জিতেছি, নেশন্স লিগ জিতেছি, এই একটা ট্রফি যেটি জাতীয় দলের হয়ে এখনও পাইনি। আসলেই এটা জিততে চাই আমি।”

“অধিনায়ক হিসেবে এটাই আমার প্রথম টুর্নামেন্ট। তাই এটা আমার জন্য আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। এই টুর্নামেন্ট সবসময় আমার দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা চাই দেশের মানুষ আমাদের নিয়ে গর্ব করুক।”কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে এমবাপে হ্যাটট্রিক উপহার দিলেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে স্বপ্ন ভাঙে ফ্রান্সের। শিরোপার খুব কাছে গিয়ে হতাশ হওয়ার সেই তিক্ত স্মৃতি মনে রেখেছেন তিনি। তবে অতীত ভুলে ইউরোতে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে ধাপে ধাপে ভাবতে চান এমবাপে।

“আমি মনে করি, (পুরনো হতাশা ভুলে) আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। টানা দুই শিরোপা, অকল্পণীয় কিছু, ইতিহাস লেখার কাছাকাছি গিয়ে জিততে না পারা আমাদের কষ্ট দিয়েছিল।”“আমরা ছাড়া সবাই ম্যাচটা (বিশ্বকাপের ফাইনাল) উপভোগ করেছিল, কিন্তু এটা খেলারই অংশ। যখন আমি ওই ম্যাচের ভিডিও দেখি, তখন হাসি, কেননা, এটা ইতিহাসের অংশ। যদি আবারও ফাইনালে উঠি, আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে। আমাদের ম্যাচ খেলতে হবে, কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেখানো নয়। তবে ইউরোর ফাইনাল এখনও অনেক দূরের ব্যাপার, আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে গ্রুপ পর্বে।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য