স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩১ মার্চ : এদেশের ক্রিকেট কি নতুন এক গতিদানবকে পেতে চলেছে? সকাল দেখে দিন কেমন যাবে তা অনেকটাই বোঝা যায়। প্রথম ম্যাচেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের ময়ঙ্ক যাদব দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি গতির ঝড় তুলে বিপক্ষের ব্যাটারদের নাজেহাল করে দিতে পারেন। আগামিদিনে ময়ঙ্ককে জাতীয় দলের হয়ে বল করতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দিকভ্রষ্ট না হলে ময়ঙ্কের পিঠে উঠতেই পারে জাতীয় দলের জার্সি। সেই ময়ঙ্ককে আবিষ্কার করেন কে? অচেনা-অজানা এক তরুণ ক্রিকেটার আইপিএলের মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছলেন কীভাবে? গতি দিয়ে প্রথম ম্যাচেই মন জিতে নিয়েছেন ময়ঙ্ক।
পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১৫৫.৮ কিমি গতিতে বল করে চমকে দিয়েছেন ময়ঙ্ক। ইরফান পাঠান, ডেল স্টেন, মর্নি মর্কেলরা তাঁর গতি দেখে বিস্মিত। তাঁর প্রশংসা করছেন। ময়ঙ্ক বলছেন, ”কিংবদন্তি এই বোলারদের আমি সেই কোন ছোটবেলা থেকেই দেখছি। আজ ওঁরা আমার প্রশংসা করছেন, এটাই আমার বিরাট পাওনা। আমার বাবা ফাস্ট বোলারদের পছন্দ করতেন। বাবা আমাকে ডেল স্টেন, মর্নি মর্কেল, মিচেল জনসনদের খেলা দেখাতেন।”
দারুণ গতিতে ধেয়ে আসা বোলারের বল ব্যাটারের হেলমেটে এসে আছড়ে পড়লে বা শরীরে আঘাত লাগলে তা ময়ঙ্ককে আনন্দ দিত। সেই কারণেই ফাস্ট বোলিংকে বেছে নেন ময়ঙ্ক।
তবে দেশের প্রাক্তন উইকেট কিপার বিজয় দাহিয়া না থাকলে ২১ বছর বয়সি এই বোলারের খোঁজই পাওয়া যেত না।
রহস্য উন্মোচন করে ময়ঙ্ক জানাচ্ছেন, বছর দুয়েক আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লির হয়ে খেলার সময়ে বিজয় দাহিয়া তাঁকে আবিষ্কার করেন। তরুণ ময়ঙ্কের কাছ থেকে বোলিং অ্যাকশনের ভিডিও চান।
ময়ঙ্ককে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন দাহিয়া। ঘরোয়া ক্রিকেটের সেই ম্যাচের অব্যবহিত পরেই ছিল আইপিএলের নিলাম। তরুণ প্রতিভাকে দলে নেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। ময়ঙ্কের বয়স তখন মাত্র ১৯। ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁকে দলে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। শনিবার তাঁর উপরে ভরসা রাখার মর্যাদা দেন ময়ঙ্ক।
পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে উচ্চমানের পেস বোলিং উপহার দেন ময়ঙ্ক। দলকে এনে দেন জয়। গতি দিয়ে পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটারদের পরাস্ত করেন। খেলার শেষে ময়ঙ্কের নামের পাশে লেখা রয়েছে ৩টি উইকেট। বেয়ারস্টো, প্রভসিমরন এবং জিতেশকে ফেরান তিনি। কীভাবে তাঁকে আবিষ্কার করা হল? রহস্য উন্মোচন করে তরুণ পেসার বলেন, ”বছর দুয়েক আগে নিলামের ঠিক আগে বিজয় হাজারে ট্রফি খেলার জন্য আমি দিল্লিতে ছিলাম। ম্যাচটা উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে ছিল। আমাদের সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়া সেই সময়ে আমাকে স্পট করেছিলেন। আমার প্রতি উৎসাহ দেখান। আমার কাছ থেকে ভিডিও চান।”