স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৭ মার্চ: লা লিগায় গত শনিবার ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ওই লাল কার্ড দেখেন বেলিংহ্যাম। রেফারির প্রতিবেদনে ছিল, তার দিকে ‘আগ্রাসী আচরণ’ করেছেন এই ফুটবলার। পরে তাকে লা লিগায় দুটি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।তবে আগ্রাসী আচরণের অভিযোগ মানতে নারাজ বেলিংহ্যাম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার লাইপজিগের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ২০ বছর বয়সী ফুটবলার বললেন, স্পেনের ফুটবলে নবীন বলেই এই ধরনের সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছেন তিনি।“আমার মনে হয় না তার দিকে অপমানজনক কোনো কথা বলেছি। অন্য সতীর্থদের মতোই তার দিকে ছুটে গেছি আমি। আমার মনে হয়.. কখনও কখনও… যেহেতু আমি এখনও নতুন এবং এরকম, এজন্যই আমাকে দিয়ে উদাহরণ গড়তে চায়…।”ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের একদম শেষ দিকে বক্সের ডান পাশ থেকে ব্রাহিম দিয়াসের ক্রস থেকে হেড করে বল জালে জড়ান বেলিংহ্যাম। কিন্তু ব্রাহিমের ক্রস বাতাসে থাকা অবস্থায়ই শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ সমতায়।
গোলমুখে বল এরকম বাতাসে থাকা অবস্থায় খেলা শেষ করে দেওয়া একরকম নজিরবিহীন। রেয়ালের ফুটবলাররাও তা মানতে চাননি। মাঠে তারা ঘিরে ধরে রেফারিকে। সেখানে ছিলেন বেলিংহ্যামও। কিছু একটা বলতে দেখা যায় তাকে। এরপরই লাল কার্ড দেখানো হয় এই মৌসুমেই রেয়ালে যোগ দেওয়া ফুটবলারকে।নিজের দায় যেটুকু আছে, তা মানছেন বেলিংহ্যামও। তবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাকে মানতে তিনি রাজি নন।“নিজের কাজের দায় আমাকে নিতেই হব এবং আমার মনে হয়, তাকে লাল কার্ড দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছি আমি।”“তবে এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি নই। আমার মনে হয়, ক্লাব যদি আপিল করে, আরও ভালো কিছু হতে পারে। কারণ আমার মতে, দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কিছুটা হাস্যকর। শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচই বাইরে থাকতে হলে সেই দায়ও আমাকে নিতে হবে এবং গ্যালারি থেকেই দলকে সমর্থন জোগাব।”