স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৩ ফেব্রুয়ারি: খেলোয়াড়ি জীবনে বার্সেলোনার গ্রেটদের একজন গুয়ার্দিওলা পরে কোচিংয়ে এসে নিজে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। ২০০৭ সালে বার্সেলোনার ‘বি’ দল দিয়ে শুরু করে পরের বছরই মূল দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব পান তিনি। সেখানে দায়িত্বে ছিলেন চার বছর, পরে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে ছিলেন তিনি তিন বছর, আর ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত তার রাজত্ব চলছে ম্যানচেস্টার সিটি। তিন ক্লাবেই তিনি পেয়েছেন অসাধারণ সব সাফল্য।রেকর্ড আর অর্জনের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে ক্লাব কোচিংয়ে তার পাওয়ার বাকি নেই আর তেমন কিছু। ইএসপিএন ব্রাজিলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোচিং থেকে আর কোনো প্রাপ্তিতে তার দৃষ্টি আছে কি না। গুয়ার্দিওলা শোনালেন জাতীয় দলকে কোচিং করানোর ভাবনা।“একটি জাতীয় দল… বিশ্বকাপ বা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো জাতীয় দলকে কোচিং করাতে চাই আমি। এই ইচ্ছা আমার আছে।”“জানি না, কোন দল আমাকে চাইবে… জাতীয় দলকে কোচিং করাতে হলে তো আমার প্রতি তাদের আগ্রহ থাকতে হবে, ঠিক ক্লাবগুলির মতোই।”
নানা সময়ে ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের দায়িত্ব তিনি নিতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা গেছে সংবাদমাধ্যমে। তবে কখনোই সেসব বাস্তবে রূপ পাওয়ার কাছাকাছিও যায়নি। আপাতত ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ২০২৫ পর্যন্ত চুক্তি আছে তার। সেই চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর সম্ভাবনাও আছে প্রবলভাবে।ক্লাব কোচিংয়ে প্রায় ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ৩২টি ট্রফি জেতা হয়ে গেছে তার। স্পেনে ও জার্মানিতে লিগ শিরোপা জিতেছেন ৩টি করে, ইংল্যান্ডে ৫টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন ৩ দফায়। তবে জাতীয় দলের হয়ে এখনই ট্রফি জয়ের কোনো ছবি আঁকছেন না গুয়ার্দিওলা। তবে বড় কোনো আসরে জাতীয় দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাটা নিতে চান তিনি।“এরকম কিছু কখনোই ভাবিনি (বিশ্বকাপ জয়)… যখন শুরু করলাম (কোচিং ক্যারিয়ার), কখনোই ভাবিনি লিগ জিতব বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতব। একটুও না। স্রেফ ভেবেছি, একটা দায়িত্ব পেলাম, ব্যস।”“তবে কোনো একটি বিশ্বকাপ বা ইউরো কিংবা কোপা আমেরিকায় কোচিং করানোর স্বাদ পেতে চাই আমি কিংবা এরকম যেটিই হোক… আমার ইচ্ছা আছে। জানি না, সেটা কখন হবে। এখন থেকে ৫ বছর বা ১০-১৫ বছর পরও হতে পারে। তবে অবশ্য বিশ্বকাপে কোচ হিসেবে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিতে চাই।”