স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৭ নভেম্বর: প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে ৩-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।প্রথম তিন মিনিটে দুটি শট লক্ষ্যে রাখে রেয়াল। তবে কাদিস গোলরক্ষক হেরেমিয়াস লেদেসমাকে খুব একটা ভাবাতে পারেনি সেগুলো। ষষ্ঠ মিনিটে আরেকটি শটও অনায়াসেই ঠেকান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। সফরকারীদের প্রবল চাপ সামাল দিয়ে একটু একটু করে আক্রমণে উঠতে শুরু করেছিল কাদিস। তাদের হতাশায় ডুবিয়ে চতুর্দশ মিনিটে রেয়ালকে এগিয়ে নেন রদ্রিগো।ডি বক্সে বল পেয়ে জায়গার অভাব শট নিতে পারছিলেন না তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কাদিসের কয়েকজন খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে ডি বক্সের মাথা থেকে ডান দিকের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন তিনি।শুরুতে একাদশে ছিলেন না রদ্রিগো। ব্রাহিম দিয়াসের অসুস্থতায় শেষ মুহূর্তে দলে আসেন তিনি। তার নৈপুণ্যেই চালকের আসনে বসে রেয়াল। ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বেলিংহ্যাম। খুব কাছ থেকে তার হেড যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
পরের মিনিটে দুর্দান্ত সেভে কাদিসকে হতাশ করেন আন্দ্রি লুনিন। ডি বক্সের বাইরে থেকে রজার মার্তির বুলেট গতির শট রেয়াল গোলরক্ষক ব্যর্থ করে দেন দারুণ ডাইভে।যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফের সুযোগ পান মার্তি। এবার আড়াআড়ি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। পোস্ট ঘেঁষে বল বেরিয়ে যেতেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেতে পারত রেয়াল। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন রদ্রিগো, পাশেই ছিলেন আরেক ফরোয়ার্ড হোসেলু। কিন্তু ঠিকঠাক শটও নেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, আবার সতীর্থর খুব একটা কাছেও বাড়াননি। অফসাইড ভেবেই হয়তো গোলের চেষ্টাতে যাননি হোসেলু! তিনি টোকা লাগাতে পারলেই স্কোরলাইন হয়ে যেত ২-০।৬৩তম মিনিটে ফের একটুর জন্য গোল পায়নি রেয়াল। ডি বক্সের বাইরে থেকে লুকা মদ্রিচের শট লাগে পোস্টে। ফিরতি বলও বেরিয়ে যায় রদ্রিগোর পাশ দিয়েই কিন্তু নাগালে পাননি তিনি।
তবে পরের মিনিটেই চমৎকার ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগো। প্রতি-আক্রমণে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে দুই জনকে এড়িয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন তিনি। চলতি আসরে এটা তার পঞ্চম গোল।দ্বিতীয় গোলে সহায়তা করার একটু পরেই খুড়িয়ে খুড়িয়ে মাঠ ছাড়েন মদ্রিচ।৭৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন বেলিংহ্যাম। রদ্রিগোর কাছ থেকে বল পেয়ে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে লেদেসমাকে পরাস্ত করেন তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ড। চলতি লিগে এটি তার ১১তম গোল, রেয়ালের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪তম। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে একটি গোল প্রায় শোধ করেই ফেলছিল কাদিস। তবে ব্রায়ান ওকাম্বোর শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন লুনিন। ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে উঠে এসেছে রেয়াল। ১৩ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নেমে যাওয়া জিরোনার সামনে সুযোগ আছে চূড়ায় ফেরার।