মুম্বই, ২২ জানুয়ারি (হি.স.) : বিরাট কোহলিকে শোকজ করতে চাওয়ার খবর সত্যি নয় ৷ এমনটাই জানালেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ কয়েকদিন আগে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিরাট কোহলির বিতর্কিত সাংবাদিক বৈঠকের পরেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে শোকজ নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, জয় শাহ’র হস্তক্ষেপে সৌরভ নাকি তা করেননি ৷
বিসিসিআই’-এর এক সূত্র দাবি করেছিল, সেই সময় টেস্ট সিরিজে এর প্রভাব পড়তে পারে ভেবে কোহলিকে শোকজ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । টেস্ট সিরিজের পরে তাঁর কাছে এ নিয়ে জবাব চাওয়া হত । কিন্তু, তার আগেই তৃতীয় টেস্ট হেরে অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট । যা নিয়ে বিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর কোহলিকে শোকজ করতে চাওয়ার খবরের মধ্যে কোনও সত্যতা নেই ।
প্রসঙ্গত, তিন ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগেই ভারতীয় ক্রিকেটে হইচই ফেলে দিয়েছিল কোহলির বক্তব্য। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কোহলি বলেছিলেন যে, তিনি ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সি চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু বোর্ড তাঁকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বিরাট জানিয়ে দেন, বোর্ড একবারও তাঁকে বলেনি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। শুধু তাই নয়, তাঁর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব যে যাচ্ছে, সেটাও নাকি জানানো হয় দল নির্বাচনের দিন মাত্র ঘণ্টা দেড়েক আগে। প্রকারান্তরে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
অথচ বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে বিরাটকে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি। যার পরই নির্বাচকদের মনে হয়, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ককে নিয়ে চলা সম্ভব নয়। বিবৃতি-পালটা বিবৃতিতে ক্রিকেট মহল যখন সরগরম তখন সৌরভ ঠিক করে ফেলেছিলেন, শোকজ করবেন বিরাটকে। বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গেও যা নিয়ে তাঁর কথা হয়। কিন্তু বোর্ডের বাকি সদস্যরা সৌরভকে বুঝিয়েসুঝিয়ে শোকজ করা আটকান। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে বোঝানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ চলাকালীন অধিনায়ককে শোকজ করলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে এ প্রসঙ্গে সৌরভকে প্রশ্ন করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এমন খবর একেবারেই ভিত্তিহীন। ফলে শুধু বোর্ড বনাম অধিনায়ক নয়, বোর্ডের অন্তর্কলহও যেন প্রকাশ্যে চলে এল।–