স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ জুন: গিনদোয়ানের বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জনের শুরু গত মার্চে। মৌসুমের শেষ দিকে সেই গুঞ্জন তীব্র হয় আরও। সিটির কোচ গুয়ার্দিওলা বেশ কবারই বলেছেন, অধিনায়ককে ধরে রাখতে সবকিছু করার চেষ্টা করবেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে কাজ হচ্ছে না। চলতি মৌসুমে অসাধারণ পারফর্ম করা ফুটবলার বেছে নিতে চলেছেন নতুন ঠিকানা। ২০১৬ সালে সিটির কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর গুয়ার্দিওলা সবার আগে দলে আনেন গিনদোয়ানকে। জার্মান এই মিডফিল্ডার তখন হাঁটুর চোট নিয়ে ছিলেন মাঠের বাইরে। তার পরও যে আশা নিয়ে তাকে দলে টানেন সিটি কোচ, পরবর্তী মৌসুমগুলোয় তা বাস্তবে রূপ দেন জার্মান এই ফুটবলার।
বিশেষ করে, গত দুই মৌসুমে তার পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। বড় ম্যাচগুলিতে দুর্দান্ত খেলে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি দলের ভাগ্য গড়ে দেওয়ায়। সেই ধারাবাহিকতায় ক্লাবের নেতৃত্বও পান তিনি। এই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ে তিনিই ছিলেন অধিনায়ক। এফএ কাপের ফাইনালে ১৩ সেকেন্ডে গোল করে জায়গা করে নেন রেকর্ড বইয়ে। সিটির ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের ৫ শিরোপা, লিগ কাপের ৪ শিরোপাসহ ৭ মৌসুমে মোট ১৪টি ট্রফি জিতেছেন গিনদোয়ান। ম্যানচেস্টারের ক্লাবটির হয়ে তিনশর বেশি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, গোল করেছেন ৬০টি। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারকে দলে পাওয়া বার্সেলোনার জন্য হবে বড় স্বস্তির। দেড় যুগ ধরে মাঝমাঠের ভরসা হয়ে থাকা সের্হিও বুসকেতস চলে যাওয়ায় যে অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের যে শূন্যতা, তা পূরণ করতে পারেন গিনদোয়ান। এই মৌসুমে লা লিগা জিতলেও আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগ থেকে অনেক আগেই ছিটকে পড়ে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী অধিনায়ককে দলে পাওয়া তাই তাদের জন্য হতে পারে বাড়তি প্রেরণাও উৎসও।