Tuesday, April 16, 2024
বাড়িখেলাশেষ ওভারে ঠাণ্ডা মাথায় কলকাতাকে জিতিয়ে বরুন বললেন, ‘হৃৎস্পন্দন ২০০ ছুঁয়ে ফেলছিল’

শেষ ওভারে ঠাণ্ডা মাথায় কলকাতাকে জিতিয়ে বরুন বললেন, ‘হৃৎস্পন্দন ২০০ ছুঁয়ে ফেলছিল’

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,৫ মে: আইপিএলের ম্যাচে বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রায় মুঠো থেকেই জয় ছিনিয়ে নেয় কলকাতা। ১৭২ রান তাড়ায় এক পর্যায়ে হায়দরাবের প্রয়োজন পড়ে ৩৬ বলে ৪৮ রান। উইকেট বাকি তখনও ৬টি। হাইনরিখ ক্লসেন ও এইডেন মারক্রাম তখন গড়েছেন দারুণ এক জুটি। চেনা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন ক্লসেন, আস্থায় খেলছিলেন অধিনায়ক মারক্রাম।কিন্তু ৪৭ বলে ৭০ রানের এই জুটি ভাঙার পর নাটকীয়ভাবে পথ হারায় হায়দরাবাদ। ২০ বলে ৩৬ রান করা ক্লসেনকে ফেরান শার্দুল ঠাকুর। একটু পর মারক্রাম বিদায় নেন ৪০ বলে ৪১ রান করে।সেই ধাক্কা সামলে আবার দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দেন আব্দুল সামাদ। শেষের আগের ওভারে ১২ রান পায় হায়দরাবাদ। শেষ ওভারে তাদের প্রয়েজন পড়ে ৯ রানের। এই সময়ের ক্রিকেটে শেষ ওভারে ৯ রান মানে ব্যাটিং দলই সম্ভাবনায় এগিয়ে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা শেষ করে দেন বরুন।প্রথম বলে তিনি দেন সিঙ্গেল, পরের বলে লেগ বাই থেকে আসে একটি রান। তৃতীয় বলে তিনি ফিরিয়ে দেন মূল বাধা হয়ে থাকা সামাদকে। পরের তিন বলে দেন স্রেফ আর এক রান। তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে জবাব পায়নি কলকাতা। শেষ ওভারে বেশ জোরের ওপর বল করেন তিনি, লেংথের হেরফের করেন ব্যাটসম্যানের মনোভাব বুঝে। শেষ বলে যখন প্রয়োজন ছক্কা, ১০৭ কিলোমিটার গতির লেংথ বল করেন এই স্পিনার। যেটিতে ব্যাট ছোঁয়াতেই পারেননি ব্যাটসম্যান ভুবনেশ্বর কুমার। ৫ রানে জিতে যায় কলকাতা।কলকাতা অধিনায়ক নিতিশ রানা শেষ ওভারের জন্য শুরুতে বল তুলে দিয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুরের হাতে। সেটিই ছিল অনুমিত, ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট তার। কিন্তু এরপরই অভিজ্ঞ পেসারকে সরিয়ে স্পিনার বরুনকে আক্রমণে আনেন তিনি। কাজে লেগে যায় সেই ফাটকা। ম্যাচ শেষে নিতিশ শোনালেন শেষ ওভারে বোলার পরিবর্তন করানোর পেছনের ভাবনা।

“শুরুতে আমি শার্দুলকে দিয়ে বোলিং করাব। তবে সত্যি বলতে, তার সঙ্গেও আমি কথা বলতে গিয়েছিলাম যে পেস বোলিং দেব নাকি স্পিন, কারণ আমার মনের মধ্যেও একটু সংশয় ছিল। তবে এরপর আমি সেরা বোলারের ওপরই ভরসা রাখলাম। সে আমাদের দুই পয়েন্ট এনে দিল।”বরুন এ দিন প্রথম বোলিং করেন দ্বাদশ ওভারে। মারক্রামের ব্যাটে দুটি চারসহ ওই ওভারে ১২ রান দেন তিনি। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের ৩ ওভারে দেন স্রেফ ৮ রান। উইকেট স্রেফ একটি নিলেও ম্যান অব দা ম্যাচ তিনিই। শেষ ওভারে তো তার বোলিং ও শরীরী ভাষা দেখে স্নায়ুচাপের কিছুই বোঝা যায়নি। তবে ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, চাপ যথেস্টই অনুভব করছিলেন।“আমার হৃৎস্পন্দন তখন নিশ্চিতভাবেই ২০০ স্পর্শ করছিল! এখন ঠিক আছে। যে পাশ থেকে বোলিং করছিলাম, অন সাইডে সীমানা বড় ছিল। সেখানে ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতে চেয়েছিলাম, সেটিতেই সফল হয়েছি। বল পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছিল, হাত থেকে ফসকে যাচ্ছিল (হালকা বৃষ্টির কারণে)। তবে ওই পাশর বড় বাউন্ডারিতেই আমার ভরসা ছিল।”“প্রথম ওভারে ১২ রান দিয়েছিলাম, মারক্রাম দারুণ কয়েকটি শট খেলেছিল। তবে বিশ্বাস ছিল (ঘুরে দাঁড়ানোর), খেলাটাই এমন। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রক্রিয়ায় থাকা। আবেগ-উত্তেজনা থাকবেই, কিন্তু প্রক্রিয়ায় থাকলে সবই সহজ হয়ে ওঠে।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য