স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক ,৩জানুয়ারি: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে সোমবার ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যায় লিভারপুল।ম্যাচের ১৯তম মিনিটে ইব্রাহিমা কোনাতের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। পরে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ইয়োয়ানে উইসা। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় লিভারপুল। কিন্তু ৮৪তম মিনিটে ব্রায়ান এমবিউমোর গোলে নিশ্চিত হয় ব্রেন্টফোর্ডের দারুণ জয়।ক্লপের মতে যদিও, এই গোলটি বাতিল হওয়া উচিত ছিল ফাউলের কারণে। শুধু এই গোলই নয়, ম্যাচজুড়েই ধাক্কাধাক্কি, প্রতিপক্ষকে বাধা দেওয়া, এসব ক্ষেত্রে ব্রেন্টফোর্ড রেফারির কাছ থেকে ছাড় পেয়েছে বলে অভিযোগ লিভারপুল কোচের।ম্যাচ শেষে যখন এসব অভিযোগ নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে কি না, ক্লপ তখন ক্ষোভ ঝারলেন আরেক দফায়।“হয়েছে (কথা)… তবে আমি যদি আমার মাইক্রোওয়েভের সঙ্গে কথা বলি, তখন যেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায় না, এখানেও ব্যাপারটি সেরকমই। সত্যিই… সবসময়ই এরকম।”
“মৌসুম শুরুর আগে তারা আমাদের জানিয়ে রাখলেন যে জটলার মধ্যে ফুটবলারদের সাবধান থাকতে হবে, কারণ রেফারির সতর্ক দৃষ্টি থাকবে সেখানে। কিন্তু দেখতেই পাচ্ছেন, এই ম্যাচগুলোতে সবকিছু করতে দেওয়া হচ্ছে এবং তারা এটার ফায়দা নিচ্ছে।”ম্যাচে অনেক সুযোগ অবশ্য পেয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি তারা। বিশেষ করে দারউইন নুনেস হাতছাড়া করেন একের পর এক সুযোগ। নিজেদের দায়টাও তাই অস্বীকার করলেন না লিভারপুল কোচ।“আমরা যখন প্রথম গোল হজম করলাম, ততক্ষণে আমাদের ২-০তে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। গোলমুখে প্রায় এক থেকেও কাজে লাগাতে পারেনি দারউইন (নুনেস) ও কস্টাস (সিমিকাস)। পরে অবশ্য আমরা একটি গোল হজম করলেও পার পেয়ে যাই অফ সাইডের কারণে। কিন্তু পরপরই আরেকটা গোল খেয়ে বসি, তখন আমরা সেখানে ছিলামই না। এখানে অবশ্যই সমালোচনার অনেক জায়গা আছে।”