স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ ডিসেম্বর: ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলার হাতছানি ক্রোয়েশিয়ার সামনে। গতবারের রানার্সআপরা এবার মুখিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব সেরার ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে। আর্জেন্টিনাও উন্মুখ বিশ্বকাপের আঙিনায় ১৯৮৬ সালের পর থেকে চলা ৩৬ বছরের শিরোপা খরার হাহাকার ঘোচাতে।নকআউট পর্বে খেলা দুটি ম্যাচেই টাইব্রেকারের কঠিন পরীক্ষা পেরিয়ে এবারের আসরে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। শেষ ষোলোয় জাপানের পর কোয়ার্টার-ফাইনালে তারা বিদায় করে টুর্নামেন্টের ফেভারিট দলগুলোর একটি ব্রাজিলকে। গোলপোস্টের নিচে তাদের ভরসার নাম দমিনিক লিভাকভিচ।সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে চারবার পেনাল্টি শুটআউটের পরীক্ষা দিয়ে প্রতিবারই সফল ক্রোয়েশিয়া। গত আসরে শেষ ষোলোয় ডেনমার্ক ও কোয়ার্টার-ফাইনালে রাশিয়াকে এভাবেই হারায় তারা।আর্জেন্টিনাও সেমি-ফাইনালে উঠেছে শেষ আটে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে। যেখানে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন মার্তিনেস। ভার্জিল ফন ডাইকের প্রথম শটটি নিজের ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন তিনি। এরপর স্টিভেন বেরহাসের শটও ফেরান বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে। শঙ্কার মেঘ সরিয়ে ৪-৩ গোলে জিতে স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যায় লাতিন আমেরিকার দলটি।
শুধু বিশ্বকাপেই নয়, মার্তিনেস অনেকদিন ধরেই দলের আস্থার আরেক নাম। মেজর কোনো টুর্নামেন্টের ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটায় আর্জেন্টিনা গত বছর, কোপা আমেরিকা দিয়ে। ওই পথচলায়ও ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের অবদান কোনো অংশে কম ছিল না।কোয়ার্টার-ফাইনাল পেরিয়ে আর্জেন্টিনা হোঁচট খেতে বসে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু সেখানে দলের ত্রাতা হয়ে ওঠেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস।লাউতারো মার্তিনেস সপ্তম মিনিটে স্কালোনির দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর লুইস দিয়াস সমতা ফেরান। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে তিনটি শট রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক এমিলিয়ানো। পরে ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে তারা ঘরে তোলে লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি।তাই এমিলিয়ানো মার্তিনেসের ওপর অগাধ ভরসা আর্জেন্টিনার। দলটির ডিফেন্ডার তাগলিয়াফিকো ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন সেই কথা।“পেনাল্টির ব্যাপারে, অবশ্যই দিবুর (এমিলিয়ানো মার্তিনেস) ওপর আমাদের অনেক আস্থা আছে। যদিও আমাদের একজন দুর্দান্ত গোলরক্ষক আছে, তবুও এটা নিয়ে দুর্ভাবনা থাকেই… তবে পেনাল্টি অনুশীলন করা যায়, সেটা কাজেও লাগানো যায়…আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, দিবু আছে এবং সে আমাদের সাহায্য করবে।”