স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৭ নভেম্বর: এর আগে অন্তত তিনবার গুনাথিলাকাকে বিভিন্ন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে নিষিদ্ধ করেছিল বোর্ড। এর মধ্যে কমপক্ষে দুইবার তার শাস্তি কমিয়ে আনা হয়েছিল। সোমবার এই বিবৃতিতে গুনাথিলাকাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তাৎক্ষনিকভাবে বহিষ্কার করার কথা জানায় এসএলসি। এসএলসির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বোর্ডের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার আদালতের দেওয়া রায়ের ওপর ভিত্তি করে গুনাথিলাকার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে তারা। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহায়তা করবে এসএলসি। গুনাথিলাকাকে সোমবার আদালতে তোলা হয়। জামিন না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তার আইনজীবী আনান্দ অমরনাথ। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন তারা। অমরনাথ আরও বলেন, গুনাথিলাকাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। আপাতত এই ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে একটি ‘কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি’-তে। জামিন পেলেও অবশ্য মামলা নিষ্পত্তি হওয়া না পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায়ই থাকতে হবে গুনাথিলাকাকে। যেহেতু অভিযোগটি গুরুতর, ধারণা করা হচ্ছে এক বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। শ্রীলঙ্কার হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যান গুনাথিলাকা। প্রথম রাউন্ড চলাকালে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আসর থেকে ছিটকে যান তিনি। তার জায়গায় দলে নেওয়া হয় আশেন বান্দারাকে। তবে তাকে দেশে ফেরত না পাঠিয়ে দলের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়। গত শনিবার শেষ হয় শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ অভিযান। এদিনই সিডনিতে টিম হোটেল থেকে স্থানীয় সময় রাত ১টায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ বছর বয়সী এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শেষে এই পদক্ষেপ নেয় তারা। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে সেই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় গুনাথিলাকার। পরে রোজ বের একটি বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ ওঠে গুনাথিলাকার বিরুদ্ধে। শ্রীলঙ্কা দলের বাকিরা দেশে ফিরে এলেও আপাতত অস্ট্রেলিয়ায়ই থাকতে হবে এখন পর্যন্ত ৮ টেস্ট, ৪৭ ওয়ানডে ও ৪৬ টি-টোয়েন্টি খেলা গুনাথিলাকাকে।