স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২১ অক্টোবর: মুখোমুখি লড়াই দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত ও পাকিস্তান। আগামী রোববার ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচটি হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এই ম্যাচের টিকেট ছাড়ার পর নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। এমনকি বাড়তি ‘স্ট্যান্ডিং রুম’ টিকেটও ১০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ম্যাচটি দেখতে মেলবোর্নে উপস্থিত হতে পারেন ১ লাখের কাছাকাছি দর্শক।গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করেছিল ভারত। সেই ম্যাচে খেলেছিলেন পান্ত। তবে আসছে ম্যাচে তার একাদশে সুযোগ পাওয়া কঠিন হতে পারে।ভারতের বিশ্বকাপ দলে কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে পান্তের সঙ্গে আছেন দিনেশ কার্তিক। তাদের যে ব্যাটিং লাইনআপ, তাতে একাদশে যে কোনো একজনই পেতে পারেন জায়গা। অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্ট মিডল অর্ডার শক্তিশালী করতে চাইলে কার্তিকের পাশাপাশি পান্তকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলাতে পারে।গত আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা সম্বল করেই আরেকটি সুযোগের আশায় আছেন পান্ত। দুই দলের এই দ্বৈরথ তার কাছে বিশেষ কিছু।
“পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই বিশেষ কিছু। কারণ, এই ম্যাচ নিয়ে বরাবরের মতোই উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। অনেক আবেগ কাজ করে, সেটা শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই নয়, ভক্তদের মাঝেই।“অন্যরকম অনুভূতি, পুরো আবহটাই আলাদা। আমরা যখন মাঠে নামি তখন দেখি মানুষ এখানে-সেখানে উল্লাস করছে। এটি অন্যরকম পরিবেশ। আমরা যখন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলাম, সত্যিই আমার গায়ের লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল।”দুবাইয়ে গত আসরে পাকিস্তানের সামনে স্রেফ উড়ে গিয়েছিল ভারত। তাদের ১৫১ রান বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটিতেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপে প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে যা ভারতের প্রথম হার।সেদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপে পড়ে পাওয়ার প্লের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় ভারত। এরপর চতুর্থ উইকেটে বিরাট কোহলির সঙ্গে ৫৩ রানের একটা জুটি গড়েন পান্ত। ২০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় তিনি করেন ৩৯ রান। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৫৭ ।২৫ বছর বয়সী পান্ত স্মৃতির ডানায় ফিরে গেলেন সেই ম্যাচে। মেলবোর্নেও কোহলির সঙ্গে ব্যাটিংয়ের আশায় তিনি।“আমার মনে আছে, হাসান আলিকে একই ওভারে আমি দুটি ছক্কা মেরেছিলাম। আমরা শুধু রান বাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। কারণ, আমরা প্রথম দিকে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম এবং আমি ও বিরাট একটা জুটি গড়েছিলাম।” “তিনি (কোহলি) সত্যিই শিখিয়ে দিতে পারেন কীভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যা একজনের ক্রিকেট পথচলাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। তাই সবসময়ই তার সঙ্গে ব্যাট করাটা ভালো অভিজ্ঞতা। অনেক অভিজ্ঞ কারও সঙ্গে ব্যাটিং করাটা দারুণ ব্যাপার। কারণ, তিনি খেলাটা ঠিকভাবে এগিয়ে নিতে ও রান রেটের চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেন