স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৯ অক্টোবর: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কেবলই পথচলা শুরু হয়েছে মাইকেল জোন্সের। এই সংস্করণে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়ে গেলেন স্কটল্যান্ডের এই ওপেনার। সঙ্গে গড়লেন দারুণ এক কীর্তি; স্কটিশদের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ইনিংসের। হোবার্টে বুধবার প্রাথমিক পর্বে ‘বি’ গ্রুপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন জোন্স। ৫৫ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৪ ছক্কা ও ৬ চারে। জোন্সের ইনিংসের সুবাদে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান করে স্কটল্যান্ড। এছাড়া ৫ চারে ২১ বলে ২৮ রান করেন ম্যাথু ক্রস। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৭ বলে ৩৭ রান করেন রিচি বেরিংটন। অস্ট্রেলিয়া আসরে এখন পর্যন্ত জোন্সের ইনিংসটিই সর্বোচ্চ। আইরিশদের বিপক্ষে গত সোমবার ৮২ রান করেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। গত জুলাইয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় জোন্সের। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি তার, খুলতে পারেননি রানের খাতা। দেশের হয়ে ওই এক ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামেন তিনি। গত সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো ম্যাচে ২০ রান করেন জোন্স। এবার মেলে ধরলেন তিনি নিজের সেরাটা। উপহার দিলেন দারুণ এক ইনিংস। জোন্সের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল তাদের অধিনায়ক বেরিংটনের। গত বছর ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসরে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৪৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৭০ রান করেছিলেন তিনি। ইনিংস শুরু করতে নেমে এদিন প্রথমে মন্থর ছিলেন ২৪ বছর বয়সী জোন্স। মুখোমুখি হওয়া অষ্টম বলে রানের দেখা পান তিনি। প্রথম বাউন্ডারি মারেন ১১তম বলে। ২০ বলে রান ছিল ১৮। ব্যারি ম্যাককার্থিকে লেগ সাইড দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে ডান মেলে দেন জোন্স। রানের গতি বাড়িয়ে ৩৮ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। পরে গ্যারেথ ডেলানিকে টানা ছক্কা-চারের পর ছক্কায় ওড়ান ম্যাককার্থিকে। ১৯তম ওভারে জোন্সের ইনিংস থামান জশ লিটল। ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়েন তিনি লং-অন বাউন্ডারিতে। মাঝে একবার জীবনও পান তিনি ৬৮ রানে। কার্টিস ক্যাম্পারের বলে লং লেগে ক্যাচ নিতে পারেননি ডেলানি।