Friday, March 29, 2024
বাড়িখেলাদ. আফ্রিকাকে ৯৯ রানে গুঁড়িয়ে সিরিজ ভারতের

দ. আফ্রিকাকে ৯৯ রানে গুঁড়িয়ে সিরিজ ভারতের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১২ অক্টোবর: সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের জয় ৭ উইকেটে।ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের কেউ খেলেননি এই সিরিজে। তবু তারা টানা দুই জয়ে সিরিজ জিতল ২-১ ব্যবধানে।শুরু থেকে ধুঁকতে ধুঁকতে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয়ে যায় স্রেফ ৯৯ রানে। এই সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে এটি তাদের সর্বনিম্ন স্কোর, সব মিলিয়ে দলটির চতুর্থ সর্বনিম্ন।এই বছরে দ্বিতীয়বার একশর নিচে গুটিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। গত জুলাইয়ে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রান তাড়ায় থমকে গিয়েছিল ৮৩ রানে।ভারতের বিপক্ষে তাদের আগের সর্বনিম্ন ছিল ১১৭, সেই ১৯৯৯ সালে নাইরোবির জিমখানা মাঠে চার দলের এলজি কাপে।দিল্লিতে এ দিন তাদের গুঁড়িয়ে দিতে ভারতের তিন স্পিনার মিলে নেন ৮ উইকেট। ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপ যাদব। বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ আহমেদ ও অফ স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর নেন ২টি করে উইকেট।ছোট লক্ষ্য ভারত ছুঁয়ে ফেলে ১৮৫ বল হাতে রেখেই। ৫৭ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার গিল। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শ্রেয়াস আইয়ার এবার ২৩ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন।সিরিজ হেরে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে তলানির দিকেই পড়ে রইল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ দলের মধ্যে ১১ নম্বরে তারা। স্বাগতিক ভারত ও সুপার লিগের অন্য শীর্ষ সাত দল সরাসরি খেলবে ২০২৩ বিশ্বকাপে।অসুস্থতার জন্য নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, সহ-অধিনায়ক কেশভ মহারাজ ও রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসিকে শেষ ম্যাচে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমা ও শামসি ছিলেন না আগের ম্যাচেও।ওয়ানডেতে নেতৃত্বের অভিষেক হয় ডেভিড মিলারের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভিন্ন তিন অধিনায়কের নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম দল দক্ষিণ আফ্রিকাই। প্রথম ম্যাচে বাভুমার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন মহারাজ।

খানিকটা স্যাঁতসেঁতে উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই কুইন্টন ডি কককে হারায় সফরকারীরা। ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ওয়াশিংটন।পেসার মোহাম্মদ সিরাজ এরপর নিজের পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন ইয়ানেমান মালান ও রিজা হেনড্রিকসকে।প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলতে পারে স্রেফ ২৬ রান।এইডেন মারক্রাম, ডেভিড মিলার ও আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। এক প্রান্তে দলকে টানছিলেন হাইনরিখ ক্লাসেন। তার ৪২ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস শেষ হয় শাহবাজের বলে বোল্ড হয়ে।দ্রুত বাকি তিন উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে দেন কুলদিপ। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তিনি।৫০ বলের মধ্যে ৩৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ৪ উইকেট পড়ে ৬ রানে।রান তাড়ায় ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সুর বেঁধে দেন শিখর ধাওয়ান ও গিল। বিশেষ করে গিল শুরু থেকে ছিলেন আগ্রাসী। অধিনায়ক ধাওয়ান ৮ করে বিদায় নেন রান আউটে।আগের ম্যাচে ৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা ইশান কিষান এ দিন ফেরেন ১৮ বলে ১০ রান করে।গিল এগোচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। একদম কাছে গিয়ে লুঙ্গি এনগিডির বলে এলবিডব্লিউ হন তরুণ ব্যাটসম্যান। ৮ চারে গড়া তার ৪৯ রানের ইনিংস।পরের ওভারেই মার্কো ইয়ানসেনকে বিশাল ছক্কায় ম্যাচের ইতি টেনে দেন শ্রেয়াস। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৭.১ ওভারে ৯৯ (মালান ১৫, ডি কক ৬, হেনড্রিকস ৩, মারক্রাম ৯, ক্লাসেন ৩৪, মিলার ৭, ফেলুকওয়ায়ো ৫, ইয়ানসেন ১৪, ফোরটান ১, নরকিয়া ০, এনগিডি ০*; ওয়াশিংটন ৪-০-১৫-২, সিরাজ ৫-০-১৭-২, আভেশ ৫-১-৮-০, শাহবাজ ৭-০-৩২-২, শার্দুল ২-০-৮-০, কুলদিপ ৪.১-১-১৮-৪)

ভারত: ১৯.১ ওভারে ১০৫/৩ (ধাওয়ান ৮, গিল ৪৯, কিষান ১০, শ্রেয়াস ২৮*, স্যামসন ২*; ইয়ানসেন ৫.১-০-৪৩-০, এনগিডি ৫-০-২১-১, নরকিয়া ৫-১-১৫-০, ফোরটান ৪-১-২০-১)

ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১-এ জয়ী ভারত

ম্যান অব দা ম্যাচ: কুলদিপ যাদব

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য