Wednesday, February 12, 2025
বাড়িখেলামেসির গোলের পর পিএসজিকে রুখে দিল বেনফিকা

মেসির গোলের পর পিএসজিকে রুখে দিল বেনফিকা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,৬ অক্টোবর: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে বুধবার রাতে দুই দলের লড়াই ১-১ ড্র হয়েছে।ইউভেন্তুস ও ম্যাকাবি খাইফাকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া দুই দলের ম্যাচে লড়াই হয় তুমুল। স্বাভাবিকভাবেই এতে আধিপত্য করে শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা পিএসজি। তবে উজ্জীবিত ফুটবলে তাদের কম ভোগায়নি বেনফিকা।ঘরের মাঠে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবলের মন্ত্র নিয়ে নামে পর্তুগিজ চ্যাম্পিয়নরা। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে ম্যাচ।প্রথমার্ধে বল দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরি করায় এগিয়ে ছিল বেনফিকা। গোলের জন্য প্রথম শট নেয় তারাই, অষ্টম মিনিটে। গনসালো রামোসের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা।ছয় মিনিট পর দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন গনসালো রামোস। তবে গোলরক্ষক বরাবর যাওয়ায় কোনো বিপদ ঘটেনি পিএসজির।ষোড়শ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক বাধা পায় দেয়ালে। গোলের জন্য এটাই পিএসজির প্রথম শট। দুই মিনিট পর পিছিয়ে পড়া থেকে পিএসজিকে রক্ষা করেন দোন্নারুম্মা। দাভিদ নেরেসের শট দারুণ দক্ষতায় এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন দীর্ঘদেহী এই গোলরক্ষক।পিএসজির আক্রমণত্রয়ী মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের নৈপুণ্যে ২১তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। এমবাপেকে বল বাড়িয়ে সামনের দিকে ছুটে যান মেসি। নেইমারের পা ঘুরে ডি-বক্সের মাথায় বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ বাঁকানো শটে বাকিটা সারেন তিনি।চলতি আসরে মেসির এটি দ্বিতীয় গোল। বেনফিকার বিপক্ষে গোল পেলেন এই প্রথম।ম্যাকাবি খাইফার বিপক্ষে আগের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি ৩৯ দলের বিপক্ষে গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। সংখ্যাটা নিয়ে গেলেন ৪০-এ। ইউরোপ সেরার মঞ্চে এটি মেসির ১২৭তম গোল।৩৭তম মিনিটে নেরেসের কারিকুরিতে সুযোগ পান আন্তোনিও সিলভা। কিন্তু খুব কাছ থেকেও দোন্নারুম্মার নাগালের বাইরে শট রাখতে পারেননি তিনি।একের পর এক আক্রমণের সুফল ৪২তম মিনিটে পায় বেনফিকা। এনসো ফের্নান্দেসের ক্রসে লাফিয়েও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি গনসালো রামোস। বলের লাইন থেকে সরতে পারেননি তার পেছনেই থাকা দানিলো পেরেইরা। এই ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জড়ায় জালে। কিছুই করার ছিল না দোন্নারুম্মার।

প্রথমার্ধে বেনফিকার পাঁচ শটের সবই ছিল লক্ষ্যে। পিএসজির তিন শটের দুটি।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। ৪৮তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির শট গোলরক্ষক কোনোমতে ফিরিয়ে দেওয়ার পর নেইমারের দর্শনীয় বাইসাইকেল কিক ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে। তিন মিনিট পর বাইলাইন থেকে হাকিমির কাট ব্যাক মাঝপথেই কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন বেনফিকা গোলরক্ষক ওদিসিয়াস ভ্লাকোদিমোস।৫৫তম মিনিটে নেইমারের দারুণ ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান তিনি। ৬৯তম মিনিটে ফের বেনফিকার ত্রাতা গোলরক্ষক। মেসির দারুণ কারিকুরিতে ডি-বক্সের মাথায় বল পান এমবাপে। বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে চেষ্টা করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড, ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনোমতে ঠেকান ভ্লাকোদিমোস।  সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে বেনফিকা। একের পর এক আক্রমণে সুযোগ তৈরি করতে থাকে পিএসজি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি একটিও।এর মধ্যেই প্রতি-আক্রমণে ৮১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বেনফেকা। তবে এগিয়ে এসে দিয়োগো গনসালভেসের শট ঠেকিয়ে দেন দোন্নারুম্মা। এরপরই মেসিকে তুলে দেন পিএসজি কোচ। এরপরও চেষ্টা করে গেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তবে বেনফিকার জমাট প্রাচীর ভাঙতে পারেনি।দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য কেবল তিনটি শট নিতে পারে বেনফিকা। এর কেবল একটি ছিল লক্ষ্যে। আর পিএসজির ১২ শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। গ্রুপের অন্য ম্যাচে খাইফাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসরে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছে ইউভেন্তুস।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য