স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক ২৬ নভেম্বর : হার একরকম। কিন্তু এ তো রীতিমতো আত্মসমর্পণ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গুয়াহাটি টেস্টে ৪০৮ রানে হার। ইডেনের পর বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামেও হেরে চুনকামের লজ্জা গম্ভীর ব্রিগেডের জন্য। দাঁড়ান, লজ্জার এখানেই শেষ নয়। এই সিরিজে ভারতীয় দলের নামে একের পর এক হতাশাজনক রেকর্ড জুটেছে, যা দেশের যে কোনও ক্রিকেটভক্ত ভুলে যেতে চাইবে। তবু মনে করিয়ে দেওয়া যাক।
ভারতের টেস্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। গুয়াহাটি টেস্টে ভারত হেরেছে ৪০৮ রানে। এরপর আছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪২ রান (২০০৪, নাগপুর) এবং তারপরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪১ রান (২০০৬, করাচি)।
দেশের মাটিতে তৃতীয়বার চুনকাম হল ভারত। যার মধ্যে শেষ দু’বার চুনকাম হয়েছে গম্ভীরের আমলে। ২০২৪-এ নিউজিল্যান্ড ও এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
৩। প্রথমবার দেশের মাটিতে কোনও ইনিংসে ২৫০ করতে পারেনি ভারত। ইডেনে ১৮৯ ও ৯৩ রানে অলআউট হয়। আর গুয়াহাটিতে প্রথম ইনিংসে ২০১ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪০ রানে গুটিয়ে যায়।
৪। ৫৬ বছর পর দেশের মাটিতে টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরি আসেনি কোনও ব্যাটারের থেকে। শেষবার ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ভারত।
৫। ৬৬ বছর পর ভারত দেশের মাঠে সাতটা টেস্টের মধ্যে পাঁচটা টেস্ট হারল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুটো টেস্ট জিতেছিল। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্টে হেরেছিল। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই টেস্টে হার।
৬। ২৫ বছর পর দুটি মরশুম মিলিয়ে ভারত পাঁচটি টেস্টে হেরেছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটি হারল।
৭। ন্যূনতম ১০০ বল খেলে ভারতীয়দের সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট সাই সুদর্শনের। ১৩৯ বল খেলে ১৪ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ১০.০৭
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও অবশ্য নজির হল। তবে তা গর্বের। সেটারও তালিকা রইল।
১। টেম্বা বাভুমার অধীনে ১২টি টেস্ট খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার মধ্যে ১১টি টেস্ট জিতেছে। কোনও টেস্ট হারেনি। একটাই টেস্ট ড্র করেছে।
২। হান্সি ক্রোনিয়ের পর বাভুমা দ্বিতীয় প্রোটিয়া অধিনায়ক যিনি ভারতের মাটিতেই ভারতকে চুনকাম করলেন। ২০০০ সালেও দক্ষিণ আফ্রিকা চুনকাম করেছিল ভারতকে।
৩। একটি টেস্টে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের নজির আইডেন মার্করামের নামে। গুয়াহাটিতে তিনি ৯টি ক্যাচ ধরেন। এই নজির আগে ছিল অজিঙ্ক রাহানের নামে। ২০১৫ সালে তিনি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮টি ক্যাচ ধরেন।

