Wednesday, July 16, 2025
বাড়িজাতীয়ছাব্বিশের ১ এপ্রিল থেকে গৃহগণনা, জনগণনা নিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি সেনসাস কমিশনারের

ছাব্বিশের ১ এপ্রিল থেকে গৃহগণনা, জনগণনা নিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি সেনসাস কমিশনারের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ জুন : জনগণনার অংশ হিসাবে ২০২৬-এর ১ এপ্রিল থেকে নাগরিকের বাড়ির তালিকা তৈরি শুরু হবে। এই বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের কাছে চিঠি পাঠালেন ভারতের জনগণনা কমিশনার এবং রেজিস্ট্রার জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ। ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, গৃহতালিকা তথা গৃহগণনার কার্যক্রম ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে শুরু হবে।

রাজ্য প্রশাসনগুলিকে পাঠানো জনগণনা কমিশনারের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ১ এপ্রিল, ২০২৬-এর আগে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তত্ত্বাবধায়ক, গণনাকারী নিয়োগ করা হবে। এরপর তাঁদের মধ্যে কাজ বন্টন করা হবে। উল্লেখ্য, ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশে দুই দফায় হবে জনগণনা। প্রথম ধাপে পারিবারিক আয়, সম্পদের পরিমাণ, আবাসন বা বাড়ির পরিস্থিতি এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই ধাপটিকে বলা হয় ‘হাউসলিস্টিং অপারেশন (এইচএলও)’। দ্বিতীয় ধাপে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আর্থ-সামাজিক-সহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই ধাপটি ‘পপুলেশন এনুমেরেশন’ নামে পরিচিত। এই প্রথমবার জনগণনার সঙ্গে জাতিগত জনগণনাও করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে প্রথম দফায় লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে জনগণনা শুরু হবে। ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে শুরু হবে জনগণনা।

ত মাসেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এবার জনগণনার সঙ্গে জাতিগত জনগণনাও করা হবে। তিনটি বিষয়ের উপর জনগণনা হবে। এক, বাড়িতে ব্যক্তিসংখ্যা, তাদের আবাস সংখ্যা ও এক আবাসে কতজন বসবাস করেন সেটা। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যার পাশাপাশি কটি বাড়ি রয়েছে তাও গণনার আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে জাতি জনগণনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের তরফে দাবি করা হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, জাতিগত জনগণনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এবারের জনগণনা প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ হতে চলেছে। কারণ, আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্নসংখ্যা যোগ করা হচ্ছে জনগণনার সমীক্ষায়। যার ফলে খরচও বাড়বে।

প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১১-র পর এ দেশে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার থাকলেও করোনা অতিমারীর জেরে সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে জনগণনা হতে পারে। কিন্তু ভোটের আগে সে পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। সব মিলিয়ে মোদি জমানায় একবারও জনগণনা হয়নি। তাতে সরকারের অন্দরে নানা ধরনের প্রশ্নও উঠছিল। অবশেষে গত বছর জনগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য