স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ জুন : পহেলগাঁও হামলার পর প্রথমবার জম্মুতে গিয়ে পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বললেন, পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশে দাঙ্গা বাঁধানো। কিন্তু কাশ্মীরবাসীই গোটা বিশ্বকে বার্তা দিয়ে দিয়েছে, যে সন্ত্রাসবাদকে যোগ্য জবাব দিতে তারা প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর মুখে এদিন উঠে এল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আদিল আহমেদ শাহের নামও।
জম্মুতে বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতুর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের সব ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন। মোদি বললেন, “পাকিস্তান মানবতা আর কাশ্মীরিয়ত দুটোর উপরই আঘাত করেছে। ওদের উদ্দেশ্য ছিল দেশে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দেওয়া। কিন্তু কাশ্মীরবাসী গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসপন্থীদের কড়া বার্তা দিয়েছে। কাশ্মীরের মানুষ এখন সন্ত্রাসকে যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওদের উদ্দেশ্য ছিল, কাশ্মীরের মেহনতি মানুষের রোজগার রুখে দেওয়া। যে পর্যটনে কাশ্মীরবাসীর সংসার চলে, সেটাকেই পাকিস্তান নিশানা করেছিল। ঘোড়াওয়ালা থেকে ছোট ব্যবসায়ী, পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের টার্গেট ছিল সকলেই। আতঙ্কবাদকে চ্যালেঞ্জ করা আদিলও ওই খেটে খাওয়া মানুষেরই প্রতিনিধি ছিল।”
বস্তুত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন কাশ্মীরবাসীর উদ্দেশ্যে জোড়া বার্তা দিয়ে গেলেন। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, পাকিস্তান যতই মুখে সাধারণ কাশ্মীরবাসীর প্রতি সহানুভূতির কথা বলুক, আসলে ওরা সাধারণ খেটে খাওয়া কাশ্মীরবাসীর কথা ভাবে না। পাকিস্তান মানবতা বিরোধী, মানুশের মেলবন্ধনের বিরোধী, গরিবের রুজিরুটির বিরোধী। পহেলগাঁওয়ে যেটা হল সেটা এরই উদাহরণ। দুই, পাকিস্তানের আসিম মুনির বা বিলাওয়াল ভুট্টোরা যতই জাতের নামে ভারতবাসীর মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করুক, কাশ্মীর তথা ভারতবাসীর মধ্যে বিভেদ তৈরি আর সম্ভব নয়।কাশ্মীর এখন শুধুই উন্নয়নের পথে হাঁটবে।
এদিন চেনাব ব্রিজের উদ্বোধনের পর সেই উন্নয়নের বার্তাই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, কোনওভাবেই কাশ্মীরের উন্নতিতে কাউকে বাধা হতে দেব না। কোনও বাধা এলে মোকাবিলা করবে সরকার। মোদি বলেন, “বৈষ্ণোদেবীর আশীর্বাদে কাশ্মীর ভারতের রেল নেটওয়ার্কে জুড়ে গেল। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর যোগসূত্র এবার রেল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। এটা কাশ্মীরের নতুন ক্ষমতার প্রতীক। এই রেলপথ কাশ্মীরের উন্নয়নকে নতুন গতি দেবে। জম্মু ও কাশ্মীরের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “মানুষ আইফেল টাওয়ার দেখতে যায়। কিন্তু এটা আইফেল টাওয়ারের থেকেও উঁচু। এই সেতু পর্যটনের রাস্তাও খুলে দেবে। চেনাব এবং অঞ্জি ব্রিজ জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থনীতিকে নতুন গতি দেবে। পর্যটন তো বাড়বেই, একই সঙ্গে অর্থনীতির অন্যান্য দিকও খুলে যাবে। কাশ্মীরের আপেল এবার অনায়াসে গোটা দেশে পৌছবে। কাশ্মীরের শাল সহজে দেশের অন্যান্য প্রান্তে পৌছবে।”