স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ মে : যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সরকারের পাশে ছিল গোটা বিরোধী শিবির। কেন্দ্রের কোনও পদক্ষেপ নিয়ে সেভাবে কোনও প্রশ্ন তোলেনি বিরোধীরা। কিন্তু সংঘর্ষবিরতি শুরু হতেই একের পর এক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সরকারকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করানো শুরু করেছে বিরোধীরা। পহেলগাঁও হামলার পর কী কী হল, কেন যুদ্ধবিরতি? সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকুক কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
দিন কয়েকের উত্তেজনার পর আচমকা সংঘর্ষবিরতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, আমেরিকার মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ থামাতে রাজি হয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকও সংঘর্ষবিরতির কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করেছে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও রাহুলের বক্তব্য, “পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাস, অপারেশন সিঁদুর এবং সংঘর্ষবিরতি সম্পর্ক জনপ্রতিনিধিদের সব তথ্য জানানো জরুরি। তাই আমি সম্মিলিত বিরোধীদের পক্ষ থেকে আরও একবার আপনাকে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমার অনুরোধ মানবেন।”
রাহুলের দাবি, দেশের সামনে আগামী দিনে যে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে, সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে দেশ যে একজোট সেটা বোঝানোর জন্য সংসদের অধিবেশনের থেকে ভালো মঞ্চ হতে পারে না। বিরোধী দলনেতা বলছেন, বিরোধী শিবির জাতীয় স্বার্থে সরকারের পাশেই আছে। কিন্তু এবার পহেলগাঁও হামলা থেকে যুদ্ধবিরতি পর্যন্ত ঘটনাবলী সম্পর্কে বিরোধীদের তথ্য দেওয়া জরুরি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই যুদ্ধবিরতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন ঘোষণা করলেন, সেটা নিয়েও ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল।
বস্তুত সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে পহেলগাঁও হামলা সম্পর্কে আলোচনার দাবি বেশ কিছুদিন ধরেই জানিয়ে আসছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। কিন্তু সরকার আমল দেয়নি। সংঘর্ষবিরতির পর সেই দাবি আরও জোরালো হল।