স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ মে : পহেলগাঁও হামলার পর বোধোদয়! ২২ এপ্রিল পাক জঙ্গিরা এত বড় নাশকতা ঘটাতে পেরেছিল স্থানীয় জঙ্গিদের মদতেই, মেনে নিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই হামলার নেপথ্যে হাত থাকতে পারে লস্কর প্রধান মাসুদ আজহারেরও!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, “স্থানীয়দের মদত ছাড়া এত বড় হামলা সম্ভব নয়। কোনও না কোনও ভাবে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত আছেন স্থানীয়রা।” কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমার মনে হয় না কারোর সাহায্য ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। যদি কেউ সাহায্য না করে, তাহলে জঙ্গিরা কোথা থেকে এল? কীভাবে এল?” ফারুকের বক্তব্য, পাক জঙ্গিদের হ্যান্ডেলার সর্বত্র রয়েছে। এই হ্যান্ডেলরারাই আগে মুম্বই, উরি, রাজৌরিতে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেছেন, “ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত আমরা বলতে পারছি না অভিযুক্ত কারা। তবে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যে কেউ যুক্ত থাকতে পারে।”
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই হামলার পর সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য, “সেই ১৯৪৭ থেকে যেভাবে পারছে পাকিস্তান আমাদের ধ্বংস করতে চাইছে। আমরা ভালো ছিলাম, পর্যটকরা আসছিল, সেটা ওদের সহ্য হচ্ছিল না।” কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই হামলার নেপথ্যে লস্কর জঙ্গি মাসুদ আজহার এবং তাঁর ভাই রউফ আসগারের হাত থাকতে পারে। তিনি বলেন, “আজহারকে যখন ছাড়া হয়েছিল, তখনও বলেছিলাম যে ওঁকে যেন মুক্তি না দেওয়া হয়। অনেক কষ্টে আমরা ওকে ধরেছিলাম, কিন্তু সরকার ওকে বিমানে করে কান্দাহার নিয়ে গেল। কেউ আমাদের কথা শোনেনি তখন।”
যেভাবে সরাসরি আবদুল্লা পহেলগাঁও হামলায় সরাসরি কাশ্মীরিদের যোগ মেনে নিয়ে পাকিস্তানকে আক্রমণ করলেন সেটা বেনজির। সচরাচর পাকিস্তানের মূল ধারার রাজনীতিক দলগুলি কাশ্মীরিদের জঙ্গিযোগ মানতে চান না। আবার পাকিস্তানের প্রতিও নরম মনোভাব দেখা যায়। কিন্তু গত কয়েক বছরে উপত্যকার মূল ধারার রাজনীতি অনেকটা বদলেছে। আবদুল্লাদের বয়ান সম্ভবত সেটারই প্রমাণ দিচ্ছে।