স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ এপ্রিল: এক বছরে ১৩৩ কোটি টাকা আয়! নতুন রেকর্ড গড়ল মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। শুধু তাই নয়, আগামী অর্থবর্ষে এই বিখ্যাত মন্দিরের আয়ের অঙ্কটা দেড়শো কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। মন্দিরের বিপুল আর্থিক লাভের নেপথ্যে রয়েছে কর্তৃপক্ষে সুপরিচালনা, এমনটাই মনে করছেন সিদ্ধিবিনায়কের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ অফিসার সন্দীপ রাঠোর।
৩১ মার্চ শেষ হয়েছে অর্থবর্ষ। ২০২৪-২৫ সালের হিসাব বলছে, নানা খাতে মুম্বইয়ের এই বিখ্যাত মন্দিরের আয় হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। যদিও বছরের শুরুতে অনুমান করা হয়েছিল, আয়ের পরিমাণ ১১৪ কোটি হতে পারে। কিন্তু প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দান দিয়েছেন পুণ্যার্থীরা। বছরশেষের হিসাব বলছে, ১৩৩ কোটি টাকা জমা পড়েছে মন্দিরের কোষাগারে। প্রাথমিক অনুমানের থেকে অন্তত ১৫ শতাংশ বেশি। তাই মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে আয়ের পরিমাণ ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কীভাবে এত প্রণামী জমা পড়ল মন্দিরে? সিদ্ধিবিনায়কের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ অফিসার সন্দীপ রাঠোর বলছেন, “সুষ্ঠুভাবে মন্দির পরিচালনার জন্যই এত বেশি পুণ্যার্থী এসেছেন এবং আশার অতিরিক্ত দান দিয়েছেন। আমরা বুঝেছি, যদি দর্শনার্থীদের সুন্দরভাবে দর্শনের সুযোগ দেওয়া যায়, তাহলে মন্দিরে আরও বেশি সংখ্যায় পুণ্যার্থীরা আসবেন। তাতে দানের পরিমাণ বাড়বে।” সন্দীপের মতে, সিদ্ধিবিনায়কে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে অন্তত ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড দর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু অন্যান্য বড় মন্দিরে সেই সময়টা ৫ থেকে ৭ সেকেন্ড।
রাঠোর জানান, দান পেটি, পুজোর খরচ, লাড্ডু-নারকেলের প্রসা বিক্রি, অনলাইন প্রণামী, সোনা-রুপোর দান-সমস্ত কিছুর মূল্য ধরেই আয়ের পরিমাণ জানা যায়। তবে এই অর্থ পুরোটাই ব্যবহার হয় সমাজকল্যাণের কাজে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে সোনা-রুপো, সবকিছুর দাম বাড়লেও মন্দিরের আয় কমেনি বলে জানান তিনি।