স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ ফেব্রুয়ারি : ভোটের পর ইভিএমের কোনও তথ্য মুছে দেওয়া নয়। ইভিএম সংক্রান্ত এক মামলায় নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলছে, ভোটের পরও ইভিএমের ‘মেমোরি’ পরীক্ষা করা দরকার।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআরের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভোটের পরও ইভিএমে সংরক্ষিত নথি খতিয়ে দেখা নির্বাচন কমিশনের অবশ্যকর্তব্য কাজের তালিকায় সংযুক্ত করা উচিত। খতিয়ে দেখা উচিত, ওই ইভিএমে এমন কিছু আছে কিনা যার মাধ্যমে হ্যাক করা হতে পারে। এডিআরের দাবি, ভোটের পর ইভিএমের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটোই পরীক্ষা করা উচিত। সেটা নির্বাচন কমিশনের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা SOP-তে যুক্ত করা হোক।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে মামলাটি ওঠে। প্রধান বিচারপতি শুনানি চলাকালীন নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “দয়া করে ইভিএমের তথ্য এখন ডিলিট করবেন না বা রিলোড করবেন না। আমরা চাই অন্তত কেউ ওই তথ্য পরীক্ষা করে দেখুক।” সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের অর্থ, আপাতত কমিশনকে ভোট সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
সম্প্রতি হরিয়ানা হোক বা মহারাষ্ট্র। নির্বাচনে হারের পর ইভিএমের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। আগেও এই বার বার হারের কারণ হিসেবে ইভিএমকে দায়ী করা হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে এহেন অভিযোগ পত্রপাঠ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিবারই। এ নিয়ে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছে। ইভিএম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ পর্যন্ত ইভিএম বাতিলের নির্দেশ দেয়নি। তবে এবার যেভাবে কমিশনকে ভোটের তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হল, তাতে বিরোধীদের কারচুপি তত্ত্ব আরও জোরাল হতে পারে।