স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি : পড়ে গিয়ে জখম হয়েছিল বছর সাতেকের একটি শিশু। তাঁর গালের উপরিভাগ গভার ভাবে কেটে গিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে তার বাড়ির লোকেরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানে কর্তব্যরত নার্স সেই ক্ষত সেলাই না করে মজবুত আঠা দিয়ে জুড়ে দেন। ঘটনাটি কর্নাটকের একটি সরকারি হাসপাতালের।
সেলাইয়ের পরিবর্তে নার্স যখন মজবুত আঠা দিয়ে শিশুর গালের ক্ষতস্থান জুড়ে দিচ্ছিলেন, তখন প্রতিবাদ করেন অভিভাবকেরা। অভিযোগ, সেই সময় শিশুর অভিভাবকদের জানানো হয়, সেলাই করলে গালে দাগ থেকে যাবে। কিন্তু আঠা দিয়ে জুড়ে দিলে সেই দাগ বোঝা যাবে না। নার্সের এই যুক্তি মানতে পারেননি শিশুর বাবা-মা। তাঁরা ওই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছেড়ে অভিযোগ তোলেন, ওই মজবুত আঠা ব্যবহারের পর শিশুর ক্ষতস্থানের পরিণতি আরও খারাপ হয়েছে। স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে আর্জি জানান, ওই নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয় এ প্রসঙ্গে। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, এক ধরনের জোরালো আঠা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে, সেটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহারে অনুমোদন নেই। এ ক্ষেত্রে সেই আঠাই ব্যবহার করেছিলেন কি না নার্স তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই নার্সকে সাসপেন্ড করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।